সেমি-ফাইনালে জার্মানির আলেক্সান্ডার জেভেরেভের বিপক্ষে দাপুটে শুরুর পর খেই হারিয়ে ১-৬, ৬-৩, ৬-১ গেমে হেরে বসেন জোকোভিচ। ম্যাচের পর প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি আত্মসমালোচনা করেন তিনি। বলেন, ক্রমেই তার পারফরম্যান্স খারাপের দিকে গেছে, যা মোটেও কাম্য নয়।
এরপর শনিবার এককের ব্রোঞ্জ পদকের আশায় খেলতে নেমে শুরুর সেট হেরে বসেন জোকোভিচ। দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ালেও হতাশা পিছু ফেলতে পারেননি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা তারকা। তাকে ৬-৪, ৬-৭, ৬-৩ গেমে হারিয়ে তৃতীয় হন এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের ১১ নম্বর স্পেনের পাবলো কারেনো বুস্তা।
টোকিও সফর এতটা হতাশাময় হবে, কল্পনাতেও বুঝি ভাবেননি জোকোভিচ। বছরের প্রথম তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের সবকটি (অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডন) জিতে পা রেখেছিলেন অলিম্পকে; গোল্ডেন স্ল্যাম জয়ের স্বপ্নে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে।
শনিবারেই পদক পাওয়ার আরেকটি সুযোগ ছিল ৩৪ বছর বয়সী এই তারকার। তবে কাঁধের চোটের কারণে মিশ্র দ্বৈতের ব্রোঞ্জ পদক নির্ধারণী ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন জোকোভিচ। নিনা স্তোইয়ানোভিচের সঙ্গে জুটি বেঁধে অস্ট্রেলিয়ার জন পিয়ার্স ও অ্যাশলি বার্টি জুটির মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল তাদের।