সাইতামা স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মিকেল মেরিনোর গোলে স্পেন এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন তমাস বেলমোন্তে।
একই সময়ে হওয়া গ্রুপের অন্য ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠেছে মিশর।
তিন ম্যাচে এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট স্পেনের। একটি করে জয় ও ড্রয়ে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট মিশরের সমান ৪; কিন্তু গোল ব্যবধানে এগিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে আফ্রিকার দেশটি।
শেষ আটে স্পেনের প্রতিপক্ষ ‘ডি’ গ্রুপের রানার্সআপ কোত দি ভোয়া। মিশর খেলবে এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও গতবারের সোনাজয়ী ব্রাজিলের বিপক্ষে।
হার দিয়ে আসর শুরু করা আর্জেন্টিনা নিজেদের পরের ম্যাচে মিশরকে হারিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিল কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। কিন্তু পয়েন্ট সমান হলেও হিসাবের মারপ্যাচে থামতে হয়েছে ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে ফুটবলে সোনা জয়ীদের।
পুরো ম্যাচে আধিপত্য ছিল স্পেনের। তবে তাদের আক্রমণের শেষটা ভালো হচ্ছিল না। অবশেষে ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে আসে সেই ক্ষণ। দানি ওলমোর পাস পেয়ে স্পেনকে এগিয়ে নেন মেরিনো।
ম্যাচে ৬২ শতাংশ বল ছিল স্পেনের দখলে। গোলের জন্য তাদের নেওয়া ১৭ শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে প্রতি-আক্রমণনির্ভর খেলা আর্জেন্টিনা ১০ শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে।
‘এ’ গ্রুপ থেকে তিন ম্যাচই জিতে পরের রাউন্ডে উঠেছে স্বাগতিক জাপান। এদিন তারা ফ্রান্সকে উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। তিন ম্যাচে দুই হারে গ্রুপ পর্বেই থামল ফ্রান্সের যাত্রা।
শেষ আটে জাপানের প্রতিপক্ষ ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ নিউ জিল্যান্ড। ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ মেক্সিকো এই পর্বে খেলবে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে।