বড় প্রাপ্তির পর ‘বিশাল অর্জনের’ প্রত্যাশায় ফ্রেজার-প্রাইস

অলিম্পিকে ২টি সোনা, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ৯টি সেরার পদক প্রাপ্তি গর্ব করার জন্য যথেষ্ঠ। কিন্তু শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস তৃপ্ত নন পুরোপরি! এতদিন যা জিতেছেন, জ্যামাইকার এই স্প্রিন্টারের কাছে তা অবশ্যই বড় কিছু। সাফল্যে মোড়া ক্যারিয়ারে এবার আরও দুর্দান্ত কিছু অর্জনের প্রত্যাশা নিয়েই তিনি পা রেখেছেন টোকিও অলিম্পিকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2021, 11:50 AM
Updated : 23 July 2021, 12:02 PM

২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছিলেন ফ্রেজার-প্রাইস। লন্ডনে পরের আসরে একই ইভেন্টে পান অলিম্পিকে দ্বিতীয় সোনার স্বাদ। ২০১৬ সালের রিও দে জেনেইরোর আসরে অবশ্য সোনালি হাসি হাসতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ও দলীয় ইভেন্টে পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জ ও রুপা।

টোকিওতে ১০০ মিটারে সেরা হতে পারলে অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে ব্যক্তিগত কোনো এক ইভেন্টে তিনটি সোনা জয়ের কীর্তি গড়বেন ফ্রেজার-প্রাইস। ওই রেকর্ডেকেই পাখির চোখ করেছেন তিনি। বিবিসির সঙ্গে আলাপচারিতায় জানিয়েছেন শুরুর দিকের ভাবনাও।

“বেশ কিছু বড় অর্জন আছে আমার। এবারের চেষ্টা বিশাল কিছু পাওয়ার। সেটা হলে দুর্দান্ত হবে।”

“পিছু ফিরে দেখলে, বলব, কখনও তো ভাবিইনি অলিম্পিয়ান হবো। কখনও ভাবিনি, পেশাদার দৌড়বিদ হবো। আমি স্রেফ দৌড়াতাম, এগুলো নিয়ে ভাবতাম না। এত দূর এসে, যেগুলো অর্জন করেছি, তা দেখে আমি এখনও নিজের গায়ে চিমটি কাঁটি; বিশ্বাসই হয় না, এককিছু জিতেছি।”

১০০ মিটারের মতো ২০০ মিটারেও সেরা হওয়ার দাবিদারদের একজন ফ্রেজার-প্রাইস। দুই ইভেন্টেই বাজিমাতের লক্ষ্যও জানালেন তিনি।

“অবশ্যই আমি দুটি ইভেন্টেই সেরার বেদিতে দাঁড়াতে উন্মুখ হয়ে আছি।”

বয়স হয়ে গেছে ৩৪ বছর। কিন্তু বয়সের ভারকে গত জুনেই স্রেফ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন ফ্রেজার-প্রাইস। কিংস্টনে জেএএএ অলিম্পিক ডেসটিনি সিরিজ মিটে ১০ দশমিক ৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে গড়েন রেকর্ড। সর্বকালের সেরা টাইমিংয়ের তালিকায় এটি দ্বিতীয় এবং জীবিত নারী স্প্রিন্টারদের মধ্যে সেরা টাইমিং এটি।

১৯৯৮ সালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ-জয়নারের ১০ দশমিক ৪৯ সেকেন্ডের রেকর্ড এখনও টিকে আছে। ১৯৮৮ সালে রেকর্ডটি গড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই কিংবদন্তি স্প্রিন্টার। গ্রিফিটের টাইমিংয়ের কাছাকাছি যেতে পেরে আরও অনুপ্রাণিত ফ্রেজার-প্রাইস।

“আমি (খুশিতে) গড়াগড়ি খাচ্ছিলাম। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। গ্রিফিথের রেকর্ড টাইমিংয়ের খুব কাছাকাছি আসতে পেরে আমি শিহরিত এবং অবশ্যই উন্মুখ হয়ে আছি টোকিওতে আরও দ্রুত দৌড়োতে।”