সাবিনাকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ গোলদাতা কৃষ্ণা

মেয়েদের লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইটা শেষ পর্যন্ত চলল। নিজেদের শেষ ম্যাচেও হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন সাবিনা খাতুন ও কৃষ্ণা রানী সরকার। বসুন্ধরা কিংসের আরেকটি বিশাল ব্যবধানে জয়ের দিনে সতীর্থ সাবিনাকে দুই গোলে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন কৃষ্ণা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2021, 01:18 PM
Updated : 19 July 2021, 01:19 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার নিজেদের শেষ ম্যাচে নাসরিন স্পোর্টস একাডেমিকে ১৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় কিংস। সাবিনা ৬টি, কৃষ্ণা ৪টি, স্বপ্না ৩টি করে গোল করেন। একটি করে গোল শামসুন্নাহার জুনিয়র, সুমাইয়া মাতসুশিমা ও মারিয়া মান্ডার।

এক ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করা কিংস হয়েছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। ১৪ ম্যাচের সবগুলো জিতে ৪২ পয়েন্ট তাদের। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে রানার্সআপ।

২৮ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার মুকুট জিতেছেন কৃষ্ণা। ২৬ গোল নিয়ে তার পেছনে সাবিনা। এবারের লিগে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রানার্সআপ আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজের সোহাগী কিসকু।

গতবার সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াই তেমন জমেনি। শীর্ষ গোলদাতা সাবিনার (৩৫টি) চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিলেন কৃষ্ণা (২২টি)। গতবারের ওই গোলগুলোই এবার সেরা হওয়ার অনুপ্রেরণা ছিল বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন কৃষ্ণা।

“সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আসলে গতবার ২২ গোল করে দ্বিতীয় হয়েছিলাম, গতবারই প্রথম লিগে খেলতে নেমেছিলাম; এবার যখন লিগ শুরু হলো, শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাস ছিল চেষ্টা করলে আমিও সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারব।”

সাত দল নিয়ে হওয়া গত লিগে ১১৬ গোল করে শিরোপা জিতেছিল কিংস। এবার আট দলের আসরে ১২২ গোল করেছে দলটি। ম্যাচ প্রতি প্রায় ৯টি করে গোল পেয়েছে। এত গোল পাওয়ার পেছনে দুর্বল প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজেদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের ভূমিকা দেখছেন কোচ আবু ফয়সাল আহমেদ।

“এ নিয়ে আমরা টানা দ্বিতীয়বার লিগ শিরোপা জিতেছি। গতবারের তুলনায় বেশি গোল করেছি। অনেকে মনে করছে প্রতিপক্ষ দূর্বল ছিল বলে এত গোল পেয়েছি। বিষয়টা কিন্তু তা নয়। এবার আমরা আরও বেশি আক্রমণাত্মক খেলেছি, গোলের জন্য খেলেছি, তাই এত গোল পেয়েছি।”

“আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ, এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভালো লড়াই করেছে। তবে আমার মনে হয়, প্রতিপক্ষ দলগুলোতে যেসব খেলোয়াড় আছে, তাদের আরেকটু যত্ন, পরিচর্যা করলে তারা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারত। এজন্য তাদের পেশাদার কোচ দিয়ে কোচিং করানো, আর্থিক সুবিধাদি নিশ্চিত করা দরকার।”