প্রিমিয়ার লিগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার পুলিশ এফসির বিপক্ষে ১-১ ড্র করে রহমতগঞ্জ। ফেলিক্স চিডির গোলে পিছিয়ে পড়া পুলিশকে সমতায় ফেরান কোকু ইয়া। পরে দলটি গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি।
দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচটি হয়েছিল গোলশূন্য ড্র।
একাদশ মিনিটে ফেলিক্সের থ্রু বল ধরে মেহেবুব হাসান নয়নের শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক। এর দুই মিনিট পরই গোলের দেখা পায় রহমতগঞ্জ। নাহিদুল ইসলামের বাড়ানো বল প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ফেলিক্স।
২৪তম মিনিটে কোকু ইয়া স্পট কিক থেকে সমতা ফেরান। আরিফ খানের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া কোত দি ভোয়ার এই ফরোয়ার্ডকে পেছন থেকে আলা নাসের টেনে ধরলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
সমতায় ফেরার পর আক্রমণের ধার বাড়ে পুলিশ এফসির। কিন্তু দূর্ভাগ্য পথ আগলে দাঁড়ায় আগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করা দলটির। ৩৭তম মিনিটে তাদের কিরগিজ মিডফিল্ডার মুরোলিমজন আখমেদভের ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কোকু ইয়া সুযোগ পেয়েছিলেন দলকে এগিয়ে নেওয়ার। কিন্তু কোত দি ভোয়ার এই ফরোয়ার্ডের শট ফেরান রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক আরিফুল ইসলাম।
বাকি সময়ে আরও কিছু সুযোগ পেলেও কখনও আরিফুলের দৃঢ়তায়, কখনও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল পায়নি পুলিশ এফসি।
লিগে এটি দুই দলেরই ষষ্ঠ ড্র। ১৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে পুলিশ এফসি; ১৮ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট রহমতগঞ্জের।
দিনের অন্য ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় মোহামেডান। ১৮ ম্যাচে ৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে শন লেনের দল। ১৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ৯ম স্থানে আছে উত্তর বারিধারা।
১৭ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী দ্বিতীয় ও ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব আছে তৃতীয় স্থানে। অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে শেখ জামাল।