অনেক সুযোগ নষ্টের ম্যাচে স্বস্তির জয় শেখ জামালের

আক্রমণের পাশাপাশি সুযোগ নষ্টের দিক থেকেও এগিয়ে থাকল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। পিছিয়ে পড়ার পর পাল্টা জবাবে সাইফ স্পোর্টিং সমতা ফেরালেও শেষ পর্যন্ত তারা আটকাতে পারেনি শফিকুল ইসলাম মানিকের দলকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2021, 12:26 PM
Updated : 15 July 2021, 12:30 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ২-১ গোলে জিতেছে শেখ জামাল। ওমর জোবে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর সাইফ স্পোর্টিংকে সমতায় ফেরান জন ওকোলি। পরে দারুণ ফ্রি কিকে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন ভালিজনভ ওতাবেক।

১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তৃতীয় স্থানে আছে শেখ জামাল। এক ম্যাচ বেশি খেলা সাইফ স্পোর্টিং ২৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে সপ্তম স্থানে। ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস।

সুলাইমান সিল্লাগ-সলোমন কিং-জোবের মিলিত আক্রমণে শুরু থেকেই সাইফ স্পোর্টিংয়ের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে শেখ জামাল। ১০ মিনিটের মধ্যে দুটি সুযোগও পেয়ে যায় তারা। পঞ্চম মিনিটে সিল্লাহর শট ব্লক করেন গোলরক্ষক শান্ত কুমার রায়। এরপর কিংয়ের লম্বা পাস ধরে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা জোবের ছোট পাসে গোলমুখ থেকে টোকা দিতে পারেননি সিল্লাহ।

ঘর সামলাতে ব্যস্ত থাকা সাইফ স্পোর্টিং প্রথম ভালো সুযোগ পায় অষ্টাদশ মিনিটে। উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড সিরোজুদ্দিন রাখমাতুল্লায়েভের কর্নারে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওকোলির হেড গোললাইন থেকে হেডেই ক্লিয়ার করেন ফয়সাল আহমেদ।

২৪তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় শেখ জামালের। কিংয়ের ফ্রি কিক ধরে ওতাবেক আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান বক্সে। জোবের হেড দূরের পোস্ট দিয়ে জালের দিকে ছুটছিল। ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকান শান্ত কুমার।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোলের অপেক্ষা ফুরায় শেখ জামালের। সতীর্থের ছোট পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে থ্রু পাস বাড়ান সিল্লাহ। এক ছুটে ডিফেন্স লাইন পেরিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিখুঁত টোকায় জাল খুঁজে নেন জোবে। লিগে গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ১৪টি। ১৬ গোল নিয়ে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতার স্বস্তি ফিরে সাইফ স্পোর্টিং শিবিরে। ওকোলির সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে পড়ে যাওয়ার পর মনির হোসেনের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফরি। বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও ওকোলির শট ফেরাতে পারেননি সামিউল ইসলাম মাসুম। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের লিগ গোল হলো ১৪টি।

৬৫তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা মারাজ হোসেন ডিফেন্ডার রেজাউল করিমকে কাটিয়ে কাছের পোস্টে জোরালো শট নিয়েছিলেন। কর্নারের বিনিময়ে আটকান শেখ জামাল গোলরক্ষক।

৭৩তম মিনিটে গোলের সহজতম সুযোগ নষ্ট হয় শেখ জামালের। সিল্লাহর থ্রু পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন জোবে। কিন্তু শান্ত কুমারের গায়ে মেরে বসেন।

তিন মিনিট পরই জয়সূচক গোলটি করে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ওতাবেকের ফ্রি কিকে বল দেয়ালের ওপর দিয়ে বাঁক খেয়ে শান্তকে বোকা বানিয়ে জালে জড়ায।

৮০তম মিনিটে জামাল ভূইয়ার কর্নারে বদলি সবুজ হোসেনের হেড ক্রসবারে প্রতিহত হলে সমতায় ফেরা হয়নি সাইফ স্পোর্টিংয়ের। লিগে সপ্তম হারের তেতো স্বাদ পায় দলটি।

লিগের প্রথম পর্বে শেখ জামালের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছিল সাইফ স্পোর্টিং। এবারের হারে লিগ টেবিলে সেরা চারে থাকা আরও কঠিন হয়ে গেল স্টুয়ার্ট হলের দলের।