ব্রিটিশ পুলিশ বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়েছে।
গত রোববার ওয়েম্বলির ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভাঙে ইংল্যান্ডের। পেনাল্টি শুট আউটে ইংলিশদের গোল করতে ব্যর্থ হন মার্কাস র্যাশফোর্ড, জ্যাডন স্যানচো ও বুকায়ো সাকা। ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমর্থকদের তীব্র রোষানলে পড়েন তিন জনই।
বর্ণবাদী ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তে নামার ঘোষণা দেয় দা মেট্রোপলিটন পুলিশ। তখন তারা জানিয়েছিল, একটি বিশেষজ্ঞ দল পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।
এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দলের কোচ, অধিনায়ক, রাজনীতিবিদরাও মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকদের এমন আচরণ। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার।
পুলিশের চিফ কন্সটেবল মার্ক রবার্টস বলেন, “আমরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির সাথে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। তারা আমাদের তদন্তে অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করছেন।"
ইউরোতে নিজেদের সব ম্যাচের শুরুতে হাঁটু গেড়ে বর্ণবাদের বিপক্ষে প্রতিবাদ জানান ইংলিশ খেলোয়াড়রা। আসর শুরুর আগে দুটি প্রীতি ম্যাচে হাঁটু গেড়ে বর্ণবাদের বিপক্ষে প্রতিবাদ জানানোর সময় ইংলিশ খেলোয়াড়দের দুয়ো দিয়েছিল তাদের দেশের দর্শকরাই।
টুর্নামেন্ট শুরুর দিন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই ব্যাপারে সরাসরি কিছু না বলে সমর্থকদের আহ্বান জানান দলকে সমর্থনের জন্য। এতে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি ও আরও কয়েক জন মন্ত্রী।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ফাইনাল ম্যাচের আগে-পরের ২৪ ঘণ্টায় ফুটবল সম্পর্কিত ৮৯৭টি ঘটনায় ২৬৪ জনকে আটক করা হয়েছিল।
ম্যাচটি শুরুর আগে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল টিকেট ছাড়া খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের।