সাকার পেনাল্টি ঠেকিয়েও জয় নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না দোন্নারুম্মা

ফাইনালের মঞ্চে টাইব্রেকারের চ্যালেঞ্জ। জানলুইজি দোন্নারুম্মার মাথায় কাজ করছিল কেবল নিজের করণীয়। তিনি গুণতে ভুলে গিয়েছিলেন শটের সংখ্যা। বুকায়ো সাকার নেওয়া ইংল্যান্ডের শেষ শটটি রুখে দেওয়ার পরও ২২ বছর বয়সী গোলরক্ষক জানতেন না জিতে গেছে ইতালি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2021, 12:37 PM
Updated : 13 July 2021, 12:37 PM

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রোববার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ গোলে সমতার পর টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। সাকার আগে জ্যাডন স্যানচোর শটও ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন দোন্নারুম্মা। আর মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের শট ব্যর্থ হয় পোস্টে লেগে।

সাকার শট ঠেকিয়ে দেওয়ার পর দোন্নারুম্মাকে দেখা গেছে শান্তভাবে হেঁটে পোস্ট ছাড়তে। যাওয়ার পথে তিনি কেবল তাকিয়ে ছিলেন রেফারির দিকে, সব ঠিকঠাক আছে কিনা তা জানতে। কিন্তু তার ওই সেইভে যে দল নিশ্চিত করেছে ১৯৬৮ সালের পর ইউরোর শিরোপা, বুঝতেই পারেননি ইতালি গোলরক্ষক।

সতীর্থদের তার দিকে ছুটে আসতে দেখেই জয়ের উপলব্ধি হয় বলে স্কাই স্পোর্টসকে জানালেন দোন্নারুম্মা।

“আমি বুঝতে পারিনি যে, আমরা জিতে গেছি। রেফারির দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছিলাম সব ঠিকঠাক করতে পেরেছি কিনা। এরপর যখন আমি সতীর্থদের দিকে ফিরলাম, তারা আমার দিকে দৌড়ে আসছিল। ওই সময় থেকে সবকিছু (উল্লাসের) শুরু হয়। (এর আগে) আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।”

টুর্নামেন্ট জুড়েই পোস্টের নিচে দোন্নারুম্মা ছিলেন দুর্ভেদ্য দেয়াল হয়ে। স্পেনের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে টাইব্রেকারে তিনি রুখে দিয়েছিলেন আলভারো মোরাতার শট। এমন পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিও পেয়েছেন দোন্নারুম্মা। জিতেছেন প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

এবারের ইউরোতে সব মিলিয়ে খেলেছেন ৭১৯ মিনিট, জাল অক্ষত রেখেছেন তিন ম্যাচে। গোল হজম করেছেন মাত্র ৪টি। সেভ করেছেন ৯টি। প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে পুরস্কারটি জেতেন তিনি।

পুরো টুর্নামেন্টে কেবল গ্রুপ পর্বে ওয়েলসের বিপক্ষে ইতালির ১-০ গোলে জেতা ম্যাচেই পুরোপুরি খেলেননি দোন্নারুম্মা। ওই ম্যাচে ৭৯তম মিনিটে তাকে তুলে নিয়ে সালভাতোরে সিরিগুকে বদলি নামিয়েছিলেন ইতালি কোচ রবের্তো মানচিনি। তবে সব মিলিয়ে দোন্নারুমা এবারের আসরে যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি সময় খেলেছেন।