ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে গত রোববার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জেতে আর্জেন্টিনা। গত ২৮ বছরে দেশটির প্রথম শিরোপা জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মেসি।
দীর্ঘ শিরোপা খরা উদযাপনে প্রয়াত মারাদোনাকে স্মরণ করছেন দেশটির ফুটবল সমর্থকরা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী মহানায়ককে ইএসপিএন মেক্সিকোর একটি অনুষ্ঠানে স্মরণ করলেন কেম্পেসও। সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন হিসেবে বিবেচিত মেসির সঙ্গে মারাদোনার তুলনাও টানেন ১৯৭৮ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
“মেসির জন্য দুর্ভাগ্য, তাকে দিয়েগো মারাদোনার বিকল্প মনে করা হয়। আর বিশ্বব্যাপী দিয়েগোর প্রতি ভক্ত-সমর্থকদের যে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা তা ছাপিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন।”
“লম্বা সময় ধরে সে (মেসি) আর্জেন্টিনার হয়ে একটা শিরোপা মিস করেছে। সে যদি মারাদোনাকে ছাড়িয়ে যেতে চায়ও, পারবে না। এমনকি যদি সে টানা চারটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে তবুও না। বিশ্বকাপ জিতলেই এটা পারা যায় না।”
মেসি যত কিছুই জিতুন না কেন, মারাদোনার সঙ্গে তার কোনো তুলনাই চলে না বলে মনে করেন ৬৬ বছর বয়সী কেম্পেস। দুজনের তুলনা নিয়ে বলতে গিয়ে কখনও ক্ষুব্ধ, কখনও বিস্মিতও হলেন তিনি।
“…এটা অসম্ভব। সে (মেসি) কত জিতেছে, কী জিতেছে এটা কোনো ব্যাপার না, মারাদোনা যা করেছে তার সঙ্গে এর কোনো তুলনাই চলে না।”
“তার জায়গায় সে, আর মেসির জায়গায় মেসি। যে মেসির সমালোচনা করে সে ফুটবলের কিছুই বোঝে না। যখন তাকে মারাদোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তখন সে খুব ভুগতে থাকে। মারাদোনার মত একজন আর জন্মাবে না। এই দিক থেকে আমরা ভাবতে পারি, মেসি হলো সব মানুষের মধ্যে সেরা, কারণ মারাদোনা কোনো মানুষ ছিল না… এটা দিয়ে আমি খারাপ কিছু বোঝাচ্ছি না।”
মেসির প্রতি ভালোবাসার কমতি নেই কেম্পেসের। রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলারকে তিনি সেরা হিসেবেই মানেন, কিন্তু মারাদোনার স্থান তার কাছে আরও উঁচুতে।
“আমি মেসিকে পছন্দ করি, তাকে ভালোবাসি। মেসির মতো মানসম্পন্ন ফুটবলার ইতিহাসে কখনও আসেনি। তাকে আমি এখন খুব খুশি দেখছি। জাতীয় দলের হয়ে সে শিরোপা জিততে পেরেছে… এটা আমাকে খুশি করেছে। এটা এমন আনন্দ দিয়েছে, যা বর্ণনা করা কঠিন।”