লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ইতালির কাছে ৩-২ গোলে হারে ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন মার্কাস র্যাশফোর্ড, জ্যাডন স্যানচো ও বুকায়ো সাকা।
১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ের ৫৫ বছর পর আরেকটি মেজরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নে বুঁদ হয়েছিল ইংল্যান্ডের মানুষ। তা ভেঙে গেলেও কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন সাউথগেট।
“ছেলেরা দেশকে কিছু অবিশ্বাস্য স্মৃতি উপহার দিয়েছে। আজকের রাতটি অবশ্যই আমাদের সবার জন্য ভীষণ কঠিন হবে। শিরোপা জয়ের এমন সুযোগ হারানোর বেদনা অনূভূত হবে; কেননা জীবনে এমন সুযোগ খুব বেশি আসে না। তবে, ছেলেরা যখন পিছু ফিরে দেখবে, তারা কি করেছে, তাদের উচিত হবে নিজেদের নিয়ে গর্ববোধ করা। সব কৃতিত্ব ছেলেদের। সম্ভাব্য সবটুকু তারা দলের জন্য দিয়েছে।”
“এই ছেলেদের সঙ্গে কাজ করা পরম আনন্দের এবং আমরা এতদিন যা করেছি, তারা তার চেয়েও বেশিদূর এগিয়েছে। কিন্তু এই পরাজয়ের পর ড্রেসিংরুমের আবহ অবিশ্বাস্য বেদনাদায়ক।”
টাইব্রেকারে হারের কষ্ট বাকি জীবনটা তাড়িয়ে বেড়াবে বলে মনে করেন হ্যারি কেইন। তবে, হারলেও সতীর্থদেরকে মাথা উঁচু রাখতে বললেন ইংলিশ অধিনায়ক।
“এই হার আমাদের ক্যারিয়ারের বাকি সময়ে পীড়া দেবে। তবে একটা দল হিসেবে যা অর্জন করেছি, সে জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত।”
“আমি এর চেয়ে বেশি দিতে পারতাম না। এর চেয়ে বেশি দিতে পারত না আমার সতীর্থরাও। পেনাল্টিতে হেরে যাওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বাজে অনুভূতি। এটা আমাদের রাত ছিল না, কিন্তু চমৎকার একটা টুর্নামেন্ট কাটল (আমাদের জন্য) এবং আমাদের উচিত মাথা উঁচু রাখা।”
‘সি’ গ্রুপের সেরা হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছিল ইংল্যান্ড। জার্মান, ইউক্রেন ও ডেনমার্ক বাধা পেরিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় সাউথগেটের দল। ‘থ্রি লায়ন’ সমর্থকরাও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে শিরোপা খরার অবসানের।
শুরুটাও হয়েছিল স্বপ্ন পূরণের বার্তা দিয়ে। দ্বিতীয় মিনিটেই দারুণ গোলে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেন লুক শ। দ্বিতীয়ার্ধে লিওনার্দো বোনুচ্চি ম্যাচে ফেরান ইতালিকে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মার নৈপুণ্যে বাজিমাত করে তারাই।