মারাদোনাকে অনুভব করছেন মেসি

লিওনেল মেসির হাতে একটি জাতীয় দলের শিরোপা অনেকের মতো বহু কাঙ্ক্ষিত ছিল দিয়েগো মারাদোনার। সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন সবার সেই চাওয়া পূরণ করেছেন ঠিকই। কিন্তু আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক তা দেখে যেতে পারেননি। তবে মেসির বিশ্বাস, কোপা আমেরিকা জয়ের পথচলায় ওপারে থেকেই তাদের সমর্থন করে গেছেন মারাদোনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2021, 10:26 AM
Updated : 12 July 2021, 11:44 AM

আর্জেন্টিনার খেলা হলেই মারাদোনা ছুটে যেতেন মাঠে। দুই হাত উঁচিয়ে, বুক চিতিয়ে শিশুতোষ উল্লাসে ফেটে পড়তেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হতো তাকে। বারবার যে ফাইনালে উঠেও শূন্য হাতে ফিরতে হতো দলকে।

সেই হতাশাকে পেছনে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববার সকালে স্বাগতিকদের হৃদয় ভেঙে কোপা আমেরিকা জিতেছে তারা। ঘরে তুলেছে ২৮ বছরের সেই কাঙ্ক্ষিত ট্রফি। মেসি ছুঁতে পেরেছেন দেশের হয়ে তার প্রথম শিরোপা।

এই অর্জন, ব্রাজিলের মাঠে উত্তরসূরিদের এই সাফল্য দেখে যেতে পারেননি মারাদোনা। মেসি-আনহেল দি মারিয়ারা বঞ্চিত হয়েছেন তার নিবিড় আলিঙ্গন থেকে। ফুটবল বিশ্বকে কাঁদিয়ে যে তিনি গত ২৫ নভেম্বর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

ম্যাচ শেষে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন মেসি। যেখানে ব্যর্থতার সময়গুলাতে তাকে ও আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করে যাওয়াদের জন্য এই শিরোপা উৎসর্গ করার কথা লিখেছেন তিনি। একই সঙ্গে ওপারে থাকা মারাদোনাকে জানিয়েছেন ধন্যবাদ।

“আমার পরিবার যারা আমাকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি যুগিয়েছে, আমার বন্ধুরা, যাদের আমি অনেক ভালোবাসি, ওই সব মানুষ যারা কঠিন এই ভাইরাসের সময়ে সমর্থন দিয়েছে, বিশেষ করে আর্জেন্টিনার সাড়ে চার কোটি মানুষ, সবাইকে আমি এই সাফল্য উৎসর্গ করতে চাই। এটা আপনাদের সবার জন্য। এবং অবশ্যই দিয়েগোকে (মারাদোনা) ধন্যবাদ, যিনি আমাদের সমর্থন করেছেন, যেখানেই থাকুন না কেন।”

কেবল মেসি নয়, আর্জেন্টিনাকে একটি শিরোপা এনে দিতে যেন মরিয়া হয়ে ছিল পুরো দল। পুরো কোপা আমেরিকায় তাদের মাঠের পারফরম্যান্সে ফুটে উঠেছে তা স্পষ্ট। মেসিও বললেন, তার সতীর্থরা খেলেছেন সর্বোচ্চটা দিয়ে। এমন দলের অধিনায়ক হয়ে গর্ববোধ করছেন এই মহাতারকা।

“এটা ছিল অসাধারণ এক কোপা (আমেরিকা)। আমরা জানি, আমাদের আরও অনেক কিছুতে এখনও উন্নতি করার আছে। তবে সত্যি হলো, ছেলেরা তাদের প্রাণ দিয়ে খেলেছে। দারুণ এই দলের অধিনায়ক হওয়ার চেয়ে বেশি গর্বিত আর কিছুতে হতে পারি না।”