মেসির চোটের ধরন কি, তা অবশ্য বলেননি আর্জেন্টিনা কোচ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, একুয়েডরের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচেই হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে মেসির। সেই অবস্থায়ই খেলেন পরের দুই ম্যাচ।
এত কাঙ্ক্ষিত ট্রফির অভিযানে কী আর এসব চোট মেসিকে দমিয়ে রাখতে পারে! ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটিই বললেন স্কালোনি।
“আপনারা যদি জানতে পারেন যে, কোন অবস্থায় সে কোপা আমেরিকা খেলেছে, তাহলে তাকে আরও ভালোবাসবেন।”
“তাকে ছাড়া এসব হয় না। পুরো ফিট না হয়েও যদি সে খেলে, যেমন আজকের ম্যাচ ও আগের ম্যাচে, তবুও তার মতো একজন ফুটবলারকে ছাড়া এমন সাফল্য সম্ভব নয়।”
কোপা আমেরিকাতেই তিনবার ফাইনালে উঠে হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণায় মাঠ ছাড়তে হয়েছে মেসিকে। ২০১৬ আসরে তো টাইব্রেকারে গোল করতে না পেরে হতাশায়-কষ্টে আন্তর্জাতিক ফুটবলকেই বিদায় বলেছিলেন। পরে তিনি ফিরে আসেন যে তাড়নায়, সেটিই পূর্ণ হলো এবার ব্রাজিলকে ফাইনালে হারিয়ে।
কোচের কাছে আর্জেন্টিনার এই ট্রফি জয়ের ওজন বেড়ে গেছে মেসির প্রাপ্তিতেও।
“শেষ পর্যন্ত সে হাল ছাড়েনি এবং সফল হয়েছেই। আমরা কথা বলছি, সর্বকালের সেরা ফুটবলারকে নিয়ে এবং সবাই জানে, জাতীয় দলের হয়ে একটি ট্রফি জয় তার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
ট্রফি জয়ের জন্যই অবশ্য নয়, স্কালোনি বরাবরই বলে আসছেন, তার চোখে মেসিই সর্বকালের সেরা। ফাইনালের আগের দিনও বলেছেন, ট্রফি না জিতলেও মেসি সবসময়ের সেরা। মেসির সঙ্গে তার সম্পর্ক কতটা বিশেষ, সেটাও জানালেন স্কালোনি।
“ ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক আর দশটা কোচ-খেলোয়াড় সম্পর্কের মতো নয়। এটা আরও গভীর। আমরা পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানাই, জড়িয়ে ধরি…. এবং ওর প্রতি ও ওর সতীর্থদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।”