রিও দে জেনেইরোর ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। আনহেল দি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর রক্ষণ জমাট রেখে জয় তুলে নেয় স্কালোনির দল। সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনা কোচের এই কৌশল দেখা গেছে নিয়মিতই।
গত আসরে ব্রাজিলের বিপক্ষেই সেমি-ফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেটি ছিল জাতীয় দলের কোচ হয়ে আসার পর স্কালোনির প্রথম বড় টুর্নামেন্ট। ওই হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে প্রথমবার ব্রাজিলের মাটিতে আর্জেন্টিনাকে এনে দিলেন শিরোপা।
২০১৯ আসরের সেই ম্যাচ থেকে চলছে স্কালোনির দলের অজেয় যাত্রা। ধীরে ধীরে আর্জেন্টিনাকে সমীহ করার মতো একটা দলে পরিণত করছেন স্কালোনি। অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যের সমন্বয় করেছেন দারুণভাবে।
২০১৮ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে হারের পর এই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হারল ব্রাজিল। তিতের দল ছিল দারুণ ছন্দে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের একমাত্র দল হিসেবে ধরে রেখেছে শতভাগ জয়ের ধারা। এই দলটিকে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে শিরোপা জেতার পর এক প্রতিক্রিয়ায় স্কালোনি জানালেন, শিরোপা জেতার পথ ছিল ভীষণ কঠিন।
“এবারের কোপা আমেরিকা ছিল ভীষণ কঠিন। সৌভাগ্যবশত আমরা শেষ পর্যন্ত জিততে পেরেছি। এটা অনেক বড় একটা শিরোপা। আশা করি, আর্জেন্টাইনরা এটা উপভোগ করবে। ভক্তরা দলকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসে। আমার মনে হয়, ওরা বুঝতে পেরেছে এই দল কখনও হাল ছাড়বে না।”
গত আসরের পর আর্জেন্টিনা দল ছিল টালমাটাল। কনমেবলের সমালোচনা করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এবার যেন তার সব পাওয়া টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতির সঙ্গে শিরোপাও। তার হাত ধরে এবার চোখে পানি, মুখে হাসি নিয়ে দেশে ফিরতে পারছে আর্জেন্টিনা।