তিতের চোখে মেসি-নেইমার যেমন

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি মানেই বারুদে উত্তাপে ঠাসা ম্যাচ। উত্তেজনা, আবেগ, শিহরণ, রোমাঞ্চের কমতি নেই একবিন্দু। লাতিন ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি এই দুই পরাশক্তি। এর ভেতরে আবার আছে আরেক লড়াই; মুখোমুখি সময়ের সেরাদের দুজন লিওনেল মেসি ও নেইমার। এমন শিহরণ জাগানিয়া ম্যাচের আগে ব্রাজিল কোচ তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2021, 02:58 AM
Updated : 10 July 2021, 02:11 PM

রিও দে জেনেইরোর ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর ৬টায় মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। মুকুট ধরে রাখার মিশন তিতের দলের। লিওনেল স্কালোনির দল লড়বে ১৯৯৩ সালের পর এ মুকুট ফিরে পাওয়ার আশায়।

ব্রাজিলের জার্সিতে নেইমারের প্রাপ্তির খাতা খুব একটা উজ্জ্বল নয়। জিতেছেন কেবল ২০১৩ সালের কনফেডারেশন্স কাপ। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকায় খেলতে পারেননি চোটের কারণে; দর্শক হয়ে দেখেছেন সতীর্থদের শিরোপা উৎসব।

বার্সেলোনার জার্সিতে ক্লাব ফুটবলে মুঠোভরে পাওয়া মেসির জাতীয় দলের হয়ে অর্জন শূন্য। দুজনেই লড়বেন কোপা আমেরিকার প্রথম শিরোপা স্বাদ পাওয়ার অভিন্ন লক্ষ্যে।

২০১৯ সালের আসরে সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। নেইমারকে ছাড়াই আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। পরে পেরুকে উড়িয়ে দিয়ে জিতেছিল শিরোপা। ওই আসরে চিলিকে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনা।

মারাকানার ফাইনালের আগের সংবাদ সম্মেলনে তিতের কণ্ঠে ফুটে উঠল লাতিন ফুটবলের দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার স্তুতি।

“ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মাহাত্ম্য ও বিশালত্ব হচ্ছে, সবশেষ লাতিন অমেরিকার এই দুটি দলই বিশ্বকাপে সাফল্য পেয়েছে। ২০০২, ১৯৯৪ ও ১৯৮৬ সালে (ব্রাজিল ১৯৯৪ ও ২০০২ এবং আর্জেন্টিনা ১৯৮৬)। কলম্বিয়া ও উরুগুয়েকে অশ্রদ্ধা না করেই বলছি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা অনেক শক্তিশালী।”

“মেসি ও নেইমারকে নিয়ে যদি বলতে হয় তাহলে বলব, তাদের মেধা, কৌশল, মানসিক দৃঢ়তার কথা। তারা দারুণ সৃষ্টিশীল। (আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ) এটা দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জিং এবং দর্শনীয় লড়াই হতে যাচ্ছে।”