রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দল দুটি। বাংলাদেশ সময় আগামী রোববার ভোর ছয়টায় শুরু হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই।
পেরুকে হারিয়ে ব্রাজিলের ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত হওয়ার পরই নেইমার বলেছিলেন, আরেক সেমি-ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করবেন তিনি। কারণ, ফুটবলপ্রেমীদের মতো তিনিও এই ‘সুপার-ক্লাসিকোয়’ খেলার স্বপ্ন দেখেন এবং তাদের হারিয়েই শিরোপা উৎসব করতে চান।
ফাইনালের আগে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের পাঠানো ভিডিও বার্তায়ও তেমনই বললেন নেইমার। প্রথম কোপা আমেরিকা জিততে কতটা মরিয়া, তাও শোনালেন তিনি।
“আমি অনেক কিছু সয়েছি, তবে দৃঢ়ভাবে সবকিছু সামলেছি। একই সঙ্গে মনে হতো, এই সময় তো আমার মাঠে থাকার কথা ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি বাইরে বসে আছি। এটা আমার প্রথম কোপা আমেরিকা ফাইনাল হতে যাচ্ছে, আর এটা জিততে আমি আমার সবটুকু উজাড় করে দিব।”
বার্সেলোনায় একসঙ্গে মেসির সঙ্গে খেলেছেন। জিতেছেন অনেক অনেক শিরোপা। লুইস সুয়ারেস ও মেসিকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন বিধ্বংসী আক্রমণত্রয়ী। পরে দল পাল্টে সবার ঠিকানা বদলে গেলেও সাবেক সতীর্থের প্রতি মুগ্ধতার কথা কখনও লুকাননি নেইমার।
“আমি সবসময় এটা বলেছি। আমার দেখা সে সেরা খেলোয়াড়। সে দারুণ বন্ধু। তবে এখন যেহেতু আমরা ফাইনালে তাই আমরা প্রতিপক্ষ। আমি শিরোপা। আমি এই শিরোপা জিততে চাই, যেখানে সেও প্রথম শিরোপার জন্য লড়াই করছে। আমি জানি, আর্জেন্টিনার হয়ে শিরোপা জেতার জন্যই সে অনেক লড়াই করেছে। যদি আমি ব্রাজিলিয়ান না হতাম তাহলে সবসময় আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করতাম।”
কোপা আমেরিকার ফাইনালে সবশেষ এই দুই দলের দেখা হয়েছিল ২০০৭ আসরে। নিজের দেশের ৩-০ গোলের জয় হয়তো টিভির পর্দায় দেখেছিলেন ওই সময়ে সান্তোস যুব দলে খেলা নেইমার। গত আসরেও আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল মুখোমুখি হয়েছিল, তবে সেটা সেমি-ফাইনালে।
চোট যে টুর্নামেন্টকে নেইমারের থেকে কেড়ে নিয়েছিল। অবশেষে অনেক প্রতীক্ষিত সেই ফাইনালে মাঠে নামার আগে দারুণ ভালোলাগা ছুঁয়ে যাচ্ছে ২৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে।
“এই ফাইনালে খেলার স্বপ্ন আমি সবসময় দেখে আসছি। এটা এমন এক ফাইনাল, কোপা আমেরিকায় যেটা উপভোগ করার আশা প্রত্যেক ফুটবলপ্রেমী করে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াই, অনেক বছরের একটি ক্লাসিক ম্যাচ হতে যাচ্ছে যেখানে দুটি দলই সেরা হতে লড়বে।”