বোনুচ্চির কণ্ঠে ‘সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায়’ পাশ করার আনন্দ

প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ারে অসংখ্য ম্যাচ খেলেছেন। মুখোমুখি হয়েছেন অনেক শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। তবে স্পেনের কঠিন চ্যালেঞ্জ উতরানোর পর লিওনার্দো বোনুচ্চি বললেন, এত কঠিন পরীক্ষায় তিনি পড়েননি আগে। তার ক্যারিয়ারে এটাই ‘কঠিনতম ম্যাচ।’

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2021, 04:20 PM
Updated : 7 July 2021, 04:20 PM

দারুণ ছন্দে শেষ চার পর্যন্ত এসে হঠাৎ যেন দিক হারিয়ে ফেলে ইতালি। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমি-ফাইনালে অনেকটা সময় কোণঠাসা হয়েছিল তারা। প্রথমার্ধের পুরোটা সময় প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল দলটি।

পরে খেলার ধারার বিপরীতে ফেদেরিকো চিয়েসার দারুণ গোলে এগিয়ে যায় ইতালি। এর কিছুক্ষর পর আলভারো মোরাতার নৈপুণ্যে সমতায় ফেরার পর আবারও মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্পেন। অতিরিক্ত সময়েও তাদের আক্রমণে পিষ্ট ছিল টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থেকে খেলতে নামা আজ্জুরিরা। তবে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে ফাইনালে পা রাখে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

ইউরোপের এই দুই ফুটবল পরাশক্তির মুখোমুখি লড়াইয়ের আগে বারবার আলোচনায় উঠে আসছিল ২০১২ ইউরো ফাইনাল। যেখানে ইতালিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল স্পেন। ওই ম্যাচে খেলেছিলেন বোনুচ্চি।

৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার আশ্বাস দিয়েছিলেন ৯ বছর আগের সেই ম্যাচের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে নতুন ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন তারা। ১২০ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর টাইব্রেকারে জয়ের পর তার কণ্ঠে যেন পাহাড় ডিঙানোর স্বস্তি।

“ক্যারিয়ারে আমি যত ম্যাচ খেলেছিল এটা ছিল তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন। স্পেনকে আমি অভিনন্দন জানাতে চাই তাদের লড়াইয়ের জন্য। তবে এই ইতালি আবারও কঠিন সময় কেটে বেরিয়ে যাওয়ার সাহস, নিবেদন ও সামর্থ্য দেখিয়েছে।”

“এখন আর একটি ধাপ পার করতে হবে। আমরা যেভাবে এগিযে চলেছি, সেটা অসাধারণ। পাঁচ দিন পর আবার আমরা এখানে ফিরব এবং ৫০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই শিরোপা (ইউরো) জেতার জন্য আমাদের অবশ্যই একই মনোভাব ধরে রাখতে হবে।”

প্রথমবারের মত জাতীয় দলের হয়ে মেজর টুর্নামেন্ট খেলতে আসা চিয়েসা রোমাঞ্চিত নিজেদের অর্জনে। এবার তার চোখ ওয়েম্বলির ফাইনালে।

“নিজের অনুভূতি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। আজ রাতে (বুধবার) স্পেন ছিল দুর্দান্ত, কিন্তু আগামী ১১ জুলাইয়ের ফাইনালে আমরা এখানে ফিরে আসব।”

“তাদের তারকা খেলোয়াড় রয়েছে, কিন্তু আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছি এবং জয় তুলে নিয়েছি। টাইব্রেকারে (মানুয়েল) লোকাতেল্লি প্রথম শট মিস করার পরও আমরা সবাই শান্ত ছিলাম।”

আগামী রোববারের ফাইনালে ইংল্যান্ড ও ডেনমার্কের মধ্যে বিজয়ীর বিপক্ষে খেলবে ইতালি।