মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাকিমিকে দলে ভেড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে পিএসজি।
রিয়াল মাদ্রিদের যুব একাডেমি থেকে উঠে আসা হাকিমিকে শুরুতে ধরা হচ্ছিল ক্লাবের ভবিষ্যৎ হিসেবে। ২০১৭ সালে ডাক পান মাদ্রিদের ক্লাবটির মূল দলে। ২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ী দলটির অংশ ছিলেন তিনি।
রিয়ালের তারকাখচিত দলে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ায় পরের মৌসুমে ২ বছরের জন্য ধারে যোগ দেন জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে। গত বছর রিয়াল মাদ্রিদ থেকে তাকে কিনে নেয় সেরি আ ক্লাব ইন্টার।
১১ বছর পর গত মৌসুমে ইন্টারের লিগ শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখেন হাকিমি। ৩৭ ম্যাচ খেলে সাতটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করান ১০টি।
এরপর থেকেই তার দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। পিএসজি ছাড়াও তার প্রতি আগ্রহী ছিল ইংলিশ ক্লাব চেলসি। শেষ পর্যন্ত হাকিমি বেছে নিলেন প্যারিসের ক্লাবটিকে। ক্লাবের ওয়েবসাইটে নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে জানিয়েছেন নিজের অনুভূতি।
“আজ আমি অনেক গর্ববোধ করছি। স্পেন, জার্মানি ও ইতালিতে পাওয়া অভিজ্ঞতার পর পিএসজি আমাকে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ একটি ক্লাবের হয়ে নতুন একটি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।”
পিএসজির হয়ে মাঠে নামার জন্য তর সইছে না হাকিমির। আশ্বাস দিয়েছেন, ক্লাবের জন্য নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দেওয়ার।
“নতুন সতীর্থ ও সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে এবং পিএসজির মাঠের অসাধারণ উদ্দীপনা উপভোগের জন্য আমি আর অপেক্ষা করতে পারছিনা। (ক্লাবের) কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের মতো আমারও উচ্চাশা একইরকম। আমার প্রতি ক্লাবের যে প্রত্যাশা, তা পূরণে নিজেকে উজাড় করে দিব।”
পিএসজির পক্ষ থেকে হাকিমির ট্রান্সফার ফি নিয়ে কিছু না বলা হলেও ফ্রান্সের গণমাধ্যমের খবর, অর্থের অঙ্কটা ছয় কোটি ইউরোর কম নয়।
মরক্কো জাতীয় দলে হাকিমির অভিষেক হয় ২০১৬ সালে। ৩৬ ম্যাচে করেছেন চারটি গোল।