‘ইতালি দুর্দান্ত, তবে স্পেনও কম নয়’

প্রথম দুই ম্যাচই ড্র। গোল স্রেফ একটি। দৃষ্টিকটু রকমের ধারহীন ফুটবল। স্পেনকে নিয়ে তখন সমালোচনার শেষ নেই। গ্রুপ পর্ব উতরানোই কঠিন। সেই দলটিই পরের দুই ম্যাচে করল পাঁচটি করে গোল। এরপর সুইজারল্যান্ডের বাধা পেরিয়ে এখন তারা সেমি-ফাইনালের মঞ্চে। প্রতিপক্ষ এখানে ইতালি, ধারাবাহিকতায় যারা দুর্দান্ত। তবে প্রতিপক্ষকে সমীহ করেই স্পেনের মিকেল ওইয়ারসাবাল বলছেন, তারাও পিছিয়ে নেই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2021, 05:00 AM
Updated : 5 July 2021, 09:28 AM

এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে প্রতাপশালী এই দুই দল। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ম্যাচ শুরু মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।

স্পেন এতদূর আসতে পারবে, অনেকেই ভাবতে পারেননি টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে। এখন তারা ফাইনাল থেকে এক ধাপ দূরে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রোববার ওইয়ারসাবাল বললেন, বাইরে অনেক সমালোচনা হলেও নিজের ওপর ভরসা হারাননি তারা।

“প্রথম দিন থেকেই আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা ঐক্যবদ্ধ ও আঁটসাঁট এবং যথেষ্ট ভালো একটি দল, যা আমরা এর মধ্যেই প্রমাণ করেছি। লোকে যা খুশি বলতে পারে, এসব ফুটবলেরই অংশ। তবে নিজেদের নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় ছিল না। আমরা সবসময় নিজেদের ওপর আস্থা রেখেছি, বিশ্বাস হারাইনি।”

বড় মঞ্চে স্পেন ও ইতালির লড়াইয়ের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। প্রতিপক্ষ যখন ইতালি, স্পেন কোচ লুইস এনরিকের সবকিছুর আগে মনে পড়তে পারে ১৯৯৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল। ইতালিয়ান ডিফেন্ডার মাউরো তাসোত্তির কনুইয়ের গুতোয় সেদিন ভেঙে গিয়েছিল এনরিকের নাক। তার সেই রক্তাক্ত ছবি এখনও চোখে ভাসে অনেকের। মাঠে দুই দলের বেশ কজনের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। বক্সের ভেতর অমন ফাউল রেফারি ধরতে পারেননি। পেনাল্টি দেননি। ইতালি ম্যাচটি জিতে নেয় ২-১ গোলে।

সাম্প্রতিক ইতিহাস অবশ্য স্পেনের জন্যই বেশি সুখকর। ২০০৮ ইউরোতে কোয়ার্টার-ফাইনালে ইতালিকে হারিয়েই স্পেন এগিয়ে যায় ট্রফি জয়ের দিকে। ২০১২ ইউরোর ফাইনালে তারা ইতালিকে উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। সেই ম্যাচে স্পেনের দাপটের সামনে ইতালি এতটাই অসহায় ছিল যে, শেষ দিকে স্পেন অধিনায়ক ইকের কাসিয়াস রেফারির কাছে আর্তি জানান ম্যাচ শেষ করে দিতে, যাতে ইতালির যন্ত্রণা শেষ হয়!

সময়ের পরিক্রমায় সেই ইতালি ঘুরে দাঁড়িয়েছে দারুণভাবে। এবারের ইউরোর সবচেয়ে ধারাবাহিক ও অনেকের চোখে, এখনও পর্যন্ত সেরা দল তারাই। তাদের অপ্রতিরোধ্য এই ছুটে চলা শুরু হয়েছে ইউরোর অনেক আগে থেকেই।

এই ইতালিকে থামানো যে কোনো দলের জন্যই কঠিন। তবে ওইয়ারসাবালের মতে, স্পেনের সেই সামর্থ্য আছে।

“তারা দুর্দান্ত দল, ওদের দলের অনেকেই ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করে আসছে। তবে আমরাও ওদের চেয়ে কোনো অংশে কম নই।”

“আমাদের স্রেফ নিজেদের সামর্থ্যে পূর্ণ বিশ্বাস রেখে যেতে হবে। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, নিজেদের ধরন, কৌশল আর প্রয়োজনের সময় জ্বলে ওঠায় মনোযোগ ধরে রাখতে হবে।”