ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে গত ১২ জুন ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিকদের ম্যাচের প্রথমার্ধে এরিকসেনের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল ফুটবল বিশ্বকে। মাঠেই দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসার দেওয়ার পর তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। ওই ঘটনায় প্রথমে ম্যাচ স্থগিত করা হলেও কিছুক্ষণ পর তাদের পুনরায় মাঠে নামতে ‘একরকম বাধ্য’ করা হয়েছিল। দিক হারানো দলটি হেরে বসে ১-০ গোলে।
স্বপ্নময় পথচলায় শনিবার কোয়ার্টার-ফাইনালে জয়ের পর হিউমান্দ বললেন, এরিকসেনকে হৃদয়ে নিয়েই এগিয়ে চলেছে তার দল।
“ক্রিস্তিয়ানের কথা এখনও আমার প্রতিটা দিন মনে পড়ে। মনে হয়, তার তো এখানে থাকার কথা ছিল।”
“আমরা খুশি যে সে বেঁচে ফিরেছে। আমরা তাকে হৃদয়ে নিয়ে এ পর্যন্ত এসেছি এবং ওয়েম্বলিতেও সে থাকবে। ফুটবলের মৌলিক মূল্যবোধ এমন কিছু মুহূর্ত আর এমন দিনগুলোয় ফুটে ওঠে এবং আমাদের মনে আছে কেন আমরা ফুটবল খেলা শুরু করেছিলাম।”
“অনেক দিন যাবৎ ক্রিস্তিয়ান এই দলের অংশ, ঠিক যেমন দলটির ভিত রাতারাতি গড়ে ওঠেনি। দলের এই সাফল্যে তার বড় ভূমিকা আছে।”
চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ডেনমার্ককে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে নেওয়া ডেলানিও বললেন একই কথা।
“গত রাতে ক্রিস্তিয়ান বলেছে, সে আমাদের নিয়ে অনেক গর্বিত। সে অনেক বছর ধরে আমাদের সেরা খেলোয়াড় এবং আমরা তাকে হৃদয়ে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তাকে গর্বিত করতে পারাটা আমাকে আনন্দ দেয়।”
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী বুধবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক।