ফ্রান্সের বিপক্ষে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে সুইজারল্যান্ড: ফেদেরার

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শক্তিশালী ফ্রান্সকে সুইজারল্যান্ড বিদায় করে দেওয়ার পর রজার ফেদেরারের উপলব্ধি, ফুটবলে ‘আন্ডারডগ’ দলগুলো যেকোনো কিছু করতে পারে। স্বদেশের ফুটবলারদের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত এই টেনিস তারকা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2021, 11:05 AM
Updated : 30 June 2021, 11:05 AM

রুমানিয়ার বুখারেস্টে গত সোমবার প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোয় নাটকীয়তায় ঠাসা দুই দলের ম্যাচটি নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ৩-৩ সমতায় শেষ হয়। পেনাল্টি শুট আউটে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে ৬৭ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো মেজর টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠে সুইজারল্যান্ড।

উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ডে মঙ্গলবার জয়ের পর এই ম্যাচ নিয়ে নিজের মনোভাব জানান ফেদেরার। স্বদেশিরা অসাধারণ একটি ফুটবল ম্যাচ উপহার দেওয়ায় গর্বিত এই সুইস। একই দিন আরেক রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়াকে ৫-৩ গোলে হারায় স্পেন।

“ম্যাচগুলোর মানের দিক থেকে গতকাল (সোমবার) ফুটবলের দিনটি ছিল অসাধারণ। শুধুই মনে হচ্ছে, তারা অসাধারণ লড়াই করেছে। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় পেনাল্টি মিস, এরপর আধা ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু বদলে গেল (৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল সুইজারল্যান্ড)। তখন তারা হাল ছেড়ে দিতে পারতো।”

“তারা যেভাবে লড়াই করেছে, তাতে আমি গর্বিত। খেলাধুলায়, বিশেষ করে ফুটবলে যখন দলের সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে, নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখে, তখন অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়।”

২০ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী ফেদেরারকেও এদিন লড়তে হয়েছে বেশ। প্রথম সেট জয়ের পর পড়েন কঠিন প্রতিরোধের মুখে। পরের দুই সেট জিতে নেন প্রতিপক্ষ আদ্রিওঁ মানারিনো। চতুর্থ সেটে হাঁটুর চোটে পড়েন এই ফরাসি। সেই সেট জেতেন ফেদেরার। এরপর মানারিনো চোটের কাছে হার মানলে পরের রাউন্ডে ওঠেন ৩৯ বছর বয়সী তারকা।

২০১৯ উইম্বলডনের ঐতিহাসিক ফাইনালে নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে পঞ্চম সেটের টাইব্রেকারে হেরেছিলেন ফেদেরার-উইম্বলডনের ফাইনালে সেবারই প্রথম টাইব্রেকার হয়। ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপের মনের অবস্থা তাই বুঝতে পারছেন তিনি। টাইব্রেকারে এমবাপের নেওয়া পঞ্চম শট গোলররক্ষক ইয়ান সমের ঠেকিয়ে দিলেই জয় নিশ্চিত হয় সুইসদের।

“ফুটবলে পেনাল্টি শুট আউট খুবই নির্দয় একটা বিষয়।… ফ্রান্স দল ও তাদের খেলোয়াড়দের জন্য আমার খারাপ লাগছে, কারণ আমি তাদের খেলা খুবই পছন্দ করি।”

“এখন আমি সুইজারল্যান্ডের সেরাটা কামনা করি। আশা করি, আমরা আবারও এমন একটা ম্যাচ খেলতে পারব। উদযাপনে গা না ভাসিয়ে সাফল্যটাকে পরের ধাপে নিয়ে যাব। এমন একটি প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনালে উঠতে পারলে সেটা হবে ঐতিহাসিক।”

রাশিয়ার সেন্ত পিতার্সবুর্গে আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শেষ আটে সুইজারল্যান্ড লড়বে স্পেনের বিপক্ষে।