ইংল্যান্ডকে ভয় পায় না শেভচেঙ্কোর ইউক্রেন

জার্মানিকে হারিয়ে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট এরকম হুঙ্কারই ছুঁড়ছেন, “যে কোনো দলই এখন দেখবে, আমরা বিপজ্জনক।” আন্দ্রে শেভচেঙ্কো বলছেন, তাদের ভয় নেই, বরং প্রেরণা আছে। ইউক্রেন কোচের মতে, ইংল্যান্ডকে সামনে পেয়ে উজ্জীবিত থাকবে তার দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2021, 06:33 AM
Updated : 30 June 2021, 06:33 AM

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর শেষ দিনে মঙ্গলবার জার্মানিকে ২-০ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। দিনের পরের ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্চে অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তের গোলে সুইডেনকে ২-১ গোলে হারায় ইউক্রেন।

২০১২ ইউরোতে শেভচেঙ্কোর জোড়া গেলে ঠিক একই ব্যবধানে সুইডেনকে হারিয়েছিল ইউক্রেন। তবে সেটি ছিল গ্রুপ পর্বে। এবারের জয় দলকে তুলে নিয়েছে কোয়ার্টার-ফাইনালে।

২০০৬ বিশ্বকাপে ফুটবলের বিশ্ব আসরে আবির্ভাবেই শেভচেঙ্কোর নেতৃত্বে ও দারুণ পারফরম্যান্সে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলেছিল ইউক্রেন। এরপর দেশটির ফুটবলে সেরা সাফল্য এলো সেই শেভচেঙ্কোরই কোচিংয়ে।

এখন স্বপ্ন দেখছেন তারা সেমি-ফাইনাল খেলার। সামনে বড় বাধা ইংল্যান্ড। চার ম্যাচ খেলে এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে কোনো গোল হজম করেনি ইংলিশরা।

সুইডেনকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে শেভচেঙ্কো বললেন, ইংল্যান্ডের শক্তির গভীরতায় সমীহ থাকলেও ভড়কে যাচ্ছেন না তারা।

“ ইংল্যান্ড দারুণ দল। তাদের বেঞ্চ শক্তিশালী, গভীরতা অনেক, অসাধারণ কোচিং স্টাফ আছে। আমাদের পুরোপুরি জানা আছে, ম্যাচটি কত কঠিন হতে যাচ্ছে। গ্রুপ পর্বে তাদের তিন ম্যাচই দেখেছি। আজকে দেখতে পারিনি, সুইডেনের বিপক্ষে নিজেদের ম্যাচের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলাম।”

“ তাদের বিপক্ষে গোল করা অবিশ্বাস্যরকমের কঠিন। তবে তাদের শক্তিতে আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এতে বরং আমাদের উজ্জীবিত হওয়া উচিত। কারণ ফুটবলে ও জীবনে যে কোনো কিছুই সম্ভব। সমর্থকদের আরও আনন্দ উপহার দিতে হৃদয় উজাড় করে খেলব আমরা।”

গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের দুটি হেরে ও একটি জিতে ইউক্রেন শেষ ষোলোয় উঠতে পেরেছিল সেরা চার তৃতীয় দলের একটি হয়ে। দেশে সমালোচনা হয়েছিল প্রচুর। সেই সমালোচনার অনেকটা ছিল অলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর পারফরম্যান্সে। সুইডেনের বিপক্ষে জয়ে সেই জিনচেঙ্কো করেন প্রথম গোল, বানিয়ে দেন পরেরটি।

জয়ের পর জিনচেঙ্কোর কণ্ঠে ছিল জবাব দিতে পারার উচ্ছ্বাস।

“ আমার জন্য মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে উঠছিল। পুরো দলেরই প্রবল সমালোচনা হয়েছে, বিশেষ করে আমার। আজ আমরা গোটা ইউরোপকে দেখিয়েছি যে, লক্ষ্য অর্জন করতে পারি আমরা।”

“ মাঠে আসতে পেরেছিলেন যারা, সেই সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এটা ঐতিহাসিক অর্জন এবং তাদের উচিত উদযাপন করা। কারণ, এই ধরনের মুহূর্ত সহজে ধরা দেয় না।”

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইউক্রেনের কোয়ার্টার-ফাইনাল আগামী শনিবার, রোমে।