কঠোর লকডাউনে কি চলবে লিগ?

সীমিত আকারের লকডাউন চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ১ জুলাই থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে কঠোর লকডাউন। পুলিশ, বিজিবি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে। ফলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ভবিষ্যতও পড়েছে প্রশ্নের মুখে। তবে সরকারের নির্দেশনা মেনে সর্বাত্মক শাটডাউনের মধ্যে লিগ চালিয়ে নিতে আশাবাদী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2021, 02:38 PM
Updated : 29 June 2021, 02:38 PM

আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির পর গত ২৬ জুন লিগের দ্বিতীয় লেগে খেলা মাঠে ফিরে। আগামী অগাস্টের মধ্যে লিগ সম্পন্ন করার লক্ষ্য বাফুফের। কেননা, অগাস্টের শুরুর দিকে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ।

লিগের ১৭তম রাউন্ডের খেলা সবে মাত্র শুরু হয়েছে। সাত রাউন্ড এখনও বাকি। শাটডাউনের জন্য খেলা বন্ধ হলে অগাস্টের মধ্যে লিগ শেষ করার কঠিন হবে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানালেন সরকারের নির্দেশনা মেনে খেলা চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ।

“যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং অনান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আমরা আমাদের চাওয়াটা জানাচ্ছি, আমরা যেন সামনের মাসে লিগটা আয়োজন করতে পারি। বিপিএল এবং বিসিএলে (বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ) সাত থেকে আটশ খেলোয়াড় জড়িত। তাদের পারিশ্রমিক, তাদের আর্থিক ও পারিবারিক অবস্থা, এগুলোও জড়িত। আজকেও এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আলোচনা করেছি।”

“মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে খুব নিবিড়ভাবে কাজ চলছে এগুলো নিয়ে। এখনও আমরা চূড়ান্ত ফিডব্যাক পাইনি, কিন্তু তাদের যে ইম্প্রেশন আমরা পেয়েছি, তাতে খেলাটা চালিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম, দুটি দলের খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালদের মধ্যে যাদের না হলেই নয়, যত কম লোকের উপস্থিতি এগুলো নিশ্চিত করতে হবে আমাদের। এ বিষয়ে আগামীকাল এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারব।”

সীমিত লকডাউনের মধ্যে অবশ্য চলছে লিগের খেলা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে ২-১ গোলে হারায় উত্তর বারিধারা। প্রথম লেগেও একই ব্যবধানে জিতেছিল তারা।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ক্রিস রেমির গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। যোগ করা সময়েই ফজিলভের গোলে সমতায় ফিরে উত্তর বারিধারা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে উজবেকিস্তানের এই ফরোয়ার্ড গড়ে দেন ম্যাচের ভাগ্য।