ওয়েম্বলির সঙ্গে ঘাসবিহীন মাঠের তুলনা টেনে নেইমারের খোঁচা

আবারও কোপা আমেরিকার মাঠের সমালোচনা করেছেন নেইমার। ইনস্টাগ্রামে পুরোপুরি ন্যাড়া একটি মাঠ আর সবুজ ঘাসে ছাওয়া ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের ছবি দিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন, ব্রাজিল পরের ম্যাচ কোথায় খেলবে?

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2021, 09:59 AM
Updated : 29 June 2021, 09:59 AM

রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার কোয়ার্টার-ফাইনালে চিলির মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এই মাঠে গ্রুপ পর্বে পেরু ও কলম্বিয়ার বিপক্ষ খেলেছে স্বাগতিকরা। দুই ম্যাচে জিতলেও মাঠের কড়া সমালোচনা করেন দলটির কোচ-খেলোয়াড়রা।

নিল্তন সান্তোসে পেরুর বিপক্ষে ব্রাজিলের ৪-০ ব্যবধানে জয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন নেইমার। ওই ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রামে মাঠের সমালোচনা করে তিনি লিখেছিলেন, “নিল্তনের ‘সুন্দর’ মাঠে গতকাল গোল উদযাপন করেছি। দয়া করে মাঠটা ঠিক করুন।”

এর আগে মাঠের সমালোচনা করায় শাস্তি পেতে হয় ব্রাজিল কোচ তিতেকে। নেইমার অবশ্য পার পেয়ে যান। তবে, গত সোমবার আরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। ওয়েম্বলির মাঠ আর ঘাসবিহীন মাঠের ছবি দিয়ে ওই ‘প্রশ্ন’ করেন তিনি। পরে অবশ্য পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছেন নেইমার। 

টুর্নামেন্ট শুরুর দ্বিতীয় দিন থেকেই আলোচনায় কোপা আমেরিকার মাঠ। চিলির বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ শেষে নিল্তন সান্তোসের ‘অনুপযুক্ত’ মাঠ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি ও অধিনায়ক লিওনেল মেসি। পরে ওই মাঠেই গত সপ্তাহে কলম্বিয়ার বিপক্ষে নিজেদের ম্যাচের পর একইরকম মন্তব্য করেন তিতে।

তার ভাষায়, নিল্তনের মাঠ খেলার জন্য খুবই বাজে যা খেলার সৌন্দর্যকে নষ্ট করেছে। তিতের দাবি ছিল, মাঠের কারণেই বলের আকার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যার প্রভাব পড়েছে খেলায়।

হঠাৎ করে এত দীর্ঘ একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্বত্ব পাওয়ায় রিও দে জেনেইরোর এই মাঠেই সাতটি ম্যাচ রাখতে বাধ্য হয়েছে ব্রাজিল। এই শহরেই অবস্থিত বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামের মাঠের অবস্থা তো আরও খারাপ। আর দুই সপ্তাহ বাদে আগামী ১০ জুন যেখানে বসবে ফাইনাল।

কুইয়াবার অ্যারেনা পানতানাল নিয়েও অভিযোগ আছে ঢের। মাঠটির কিছু অংশ সমতল নয়, আছে গর্তও-সব মিলিয়ে এমন মাঠে সুন্দর ফুটবল তো সম্ভব নয়ই, খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ভয়ও আছে। সেখানে এই মাঠেই গ্রুপ পর্বের পাঁচটি ম্যাচ রাখা হয়েছে।

নিল্তন সান্তোসেই হয়েছিল ২০১৬ অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের লড়াই। আর এরপর থেকে দেশটির দ্বিতীয় বিভাগে খেলা স্থানীয় ক্লাব বোতাফোগো নিয়মিতভাবে মাঠটি ব্যবহার করে আসছে।

কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের পর এই মাঠে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে আয়োজকদের সমালোচনা করায় তিতেকে পাঁচ হাজার ডলার জরিমানা করেছিল কনমেবল।

চিলির বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ের পর মেসি বলেছিলেন, “এই মাঠে ভালো খেলা সম্ভব নয়।” তার কোচ স্কালোনির ভাষা ছিল আরও কড়া, “এটা অন্য খেলার মাঠ, ফুটবল খেলার জন্য নয়।”

পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসের ভাষায়, মাঠের অবস্থা ছিল করুণ। সেখানে গোল কিক নেওয়াও কঠিন।

দুই বছর আগে ২০১৯ কোপা আমেরিকাও হয়েছিল ব্রাজিলে। সেবারও মাঠ নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল, বিশেষ করে পোর্তো আলেগ্রের আরেনা দো গ্রেমিওর মাঠ নিয়ে।