কোপেনহেগেনে সোমবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটি স্পেন শুরু করে দাপটে। কিন্তু ম্যাচের বয়স ২০ মিনিট হতেই হতভম্ব হয়ে যেতে হয় তাদের। মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে পেদ্রির ব্যাক পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে মুহূর্তের জন্য মনোযোগ নড়ে যায় গোলকিপার উনাই সিমোনের। বল তার পা ছুঁয়ে ঢুকে যায় জালে!
আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়া দল গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় নিলেও সমতায় ফেরে প্রথমার্ধেই। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোলে তারা এগিয়ে যায় সহজ জয়ের পথে। ৮৫ মিনিট থেকে নাটকের নতুন পর্বের শুরু। একটি গোল ফিরিয়ে দেওয়ার পর যোগ করা সময়ে আরেকটি গোলে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকেও দুই দফায় গোলের কাছাকাছি যায় ক্রোয়েশিয়া। তারা পারেনি, কিন্তু পেরে যায় স্পেন। দ্রুত দুটি গোল করে আবার এগিয়ে গিয়ে তারা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে ব্যবধান।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কোচ এনরিকে বললেন, আত্মঘাতী গোল বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিল তাদের জন্য।
“ওরা কোনো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি, তারপরও আমরা গোল হজম করি। এরকম যখন হয়, এটা খানিকটা অবিচার এবং কিছু সময়ের জন্য হতবাক হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।”
এনরিকের মতে, টিম স্পিরিট দারুণ ছিল বলেই চ্যালেঞ্জ জিততে পেরেছে তার দল।
“তীব্র লড়াইয়ের ম্যাচ ছিল আজ, সবকিছুই ছিল এই ম্যাচে। তবে আমাদের সত্যিকারের টিম স্পিরিট আজকে দেখেছে সবাই।”
“যখন ‘ইগো’ নামক শব্দটি অদৃশ হয়ে ‘দল’ প্রকাশ্য হয়ে ওঠে, সেই দলের অংশ হতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।”