আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরার প্রত্যয় রোনালদোর

মুকুট ধরে রাখার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গেছে নকআউট পর্বের প্রথম ধাপে। স্বাভাবিকভাবে বিষাদ, হতাশা সঙ্গী ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। কিন্তু তিনি যে মোটেও ভেঙে পড়ার মানুষ নন। পর্তুগিজ অধিনায়ক তাই প্রত্যয়ী কণ্ঠে দিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2021, 05:15 PM
Updated : 28 June 2021, 05:15 PM

এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও ফ্রান্সের সঙ্গে ‘এফ’ গ্রুপে পড়েছিল পর্তুগাল। অপর দল ছিল উজ্জীবিত ফুটবল খেলা হাঙ্গেরি। শুরু থেকে এই গ্রুপটিকে বলা হচ্ছিল ‘মৃত্যুকূপ’।

জমজমাট লড়াইয়ে শেষ রাউন্ডে ফ্রান্সের সঙ্গে ২-২ ড্র করে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চার সেরা তৃতীয় দলগুলোর একটি হয়ে নকআউট পর্বে পা রাখে পর্তুগাল। কিন্তু কষ্টেসৃষ্টে গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পেরুনোর পথ দলটির পথচলা হয়নি দীর্ঘায়িত।

নকআউট পর্বের শুরুতে সামনে পড়ে শক্তিশালী বেলজিয়াম। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলটির বিপক্ষে গত রোববার ম্যাচ জুড়ে আক্রমণে আধিপত্য করেও ১-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় ফের্নান্দো সান্তোসের দল।

পরদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় অধিনায়ক রোনালদো জানান আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরার আশাবাদ। দেশাবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার হতাশাও ফুটে ওঠে এই তারকার বার্তায়।

“আমরা যে ফল চেয়েছিলাম তা পাইনি এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছি। তবে এই যাত্রায় আমরা গর্বিত; ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা ধরে রাখতে আমরা নিজেদের সর্বোস্ব দিয়ে লড়াই করেছি এবং এই দলটি প্রমাণ করেছে যে, তারা সামনের দিনগুলিতে পর্তুগিজদের আরও অনেক আনন্দ উপহার দিতে সক্ষম।”

“শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সমর্থকরা দলকে ক্লান্তিহীনভাবে সমর্থন দিয়েছে। তাদের জন্যই আমরা ছুটি, লড়াই করি, আমাদের প্রতি তাদের যে বিশ্বাস, তার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা যেখানে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমরা।”

গ্রুপের তিন ম্যাচেই উজ্জ্বল ছিলেন রোনালদো। পাঁচ গোল করার পথে গড়েন বেশ কয়েকটি রেকর্ড। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে গড়েন ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড, সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড। জালের দেখা পান পরের ম্যাচেও। আর শেষ রাউন্ডে জোড়া গোল করে স্পর্শ করেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে আলি দাইয়ের ১০৯ গোলের বিশ্ব রেকর্ড।

বয়স হয়ে গেছে ৩৬ বছর। মহাদেশ সেরার লড়াইয়ে হয়ত তাকে আর দেখা যাবে না। তবে ক্লাব ফুটবলে তিনি এখনও বড় তারকা, নির্ভরতার নাম। গেল মৌসুমেই ইউভেন্তুসের জার্সিতে হয়েছেন সেরি আর সর্বোচ্চ গোলদাতা।

আগামী বছর মাঠে গড়াবে কাতার বিশ্বকাপ। হয়ত, বিশ্বসেরার মঞ্চে চোখ রেখেই দিলেন আরও শক্তি সঞ্চয় করে ফেরার ঘোষণা। একই সঙ্গে বেলজিয়ামসহ ইউরো লড়াইয়ে থাকা দলগুলোকে জানালেন শুভেচ্ছা।

“বেলজিয়ামকে অভিনন্দন আর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা বাকি দলগুলোকে শুভকামনা। আর আমরা, আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব। এগিয়ে যাও পর্তুগাল।”