চোখের জলে পর্তুগালের বিদায়, কোচ বললেন ‘জয় প্রাপ্য ছিল’

স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়ার। সব মুখ থুবড়ে পড়ল বাস্তবতার জমিনে। পর্তুগালের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শেষ হয়ে গেল কোয়ার্টার-ফাইনালের আগেই। সেই হতাশাই ঝরে পড়ল অশ্রু হয়ে। বেলজিয়ামের কাছে হেরে এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ড্রেসিং রুমে ফুটবলাররা কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানালেন কোচ ফের্নান্দো সান্তোস।

স্পোর্টস ডেস্ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2021, 06:35 AM
Updated : 28 June 2021, 06:35 AM

শেষ ষোলোর লড়াইয়ে রোববার মাঠে আধিপত্য রাখলেও ম্যাচের ফল পক্ষে আনতে পারেনি পর্তুগাল। ম্যাচের প্রায় ৫৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে তারা গোলে শট নেয় ২৩টি, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু পোস্টে লেগে, সুযোগ নষ্ট করে জালের দেখা পায়নি তারা।

গোলের উদ্দেশে বেলজিয়ামের ছয় শটের একটিই ছিল লক্ষ্যে। বাজিমাত সেটিতেই। ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে তোরগান আজারের গোলা শেষ মুহূর্তে বাঁক খেয়ে পর্তুগিজ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে। অনেক চেষ্টায়ও পর্তুগাল আর পারেনি সমতা ফেরাতে।

ম্যাচ শেষে কোচ সান্তোস বললেন, দলের ফুটবলারদের প্রতি তার কোনো অভিযোগ নেই।

“বলটি যদি ভেতরে না ঢুকত! অবশ্যই আমরা হতাশ ও কষ্ট পাচ্ছি। ফুটবলাররা ড্রেসিং রুমে কান্না করছে, হয়তো পর্তুগিজরাও (দেশের মানুষ)।”

পর্তুগাল কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের মতে, জয় তাদের প্রাপ্য ছিল।

“যা দেওয়ার ছিল, ফুটবলাররা মাঠে সবটুকুই উজাড় করে দিয়েছে, কঠোর পরিশ্রম করেছে। কিন্তু এটাই ফুটবল। তারা স্রেফ ছয়টি শট নিয়েছে (গোলে), একটি ছিল লক্ষ্যে, সেটিতেই গোল করেছে। আমরা ২৪ শট (২৩) নিয়েছি, পোস্টে লাগিয়েছি।”

পর্তুগাল কোচ অবশ্য ভাগ্যকে দায় দিচ্ছেন না। তবে বলছেন, জয়টা তাদেরই প্রাপ্য ছিল।

“ ফুটবলে ন্যায়বিচার আর অবিচার বলে কিছু নেই। স্রেফ কেউ গোল করে, কেউ পারে না। আমরা গোল হজম করেছি, গোল করতে পারিনি। পর্তুগিজদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিতে সব চেষ্টাই করেছে আমার ফুটবলাররা। আমরা জিততে পারিনি, তবে জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল।”

প্রায় ৭ বছর ধরে পর্তুগালের দায়িত্বে থাকা কোচের বিশ্বাস, এই ম্যাচ জিতলে শিরোপাও জিততে পারত তার দল।

“ আমরা সবাই এটা চাচ্ছিলাম। আমাদের বিশ্বাস ছিল, নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা ছিল। আমরা জানতাম, এই ম্যাচ জিতলে, আরও জিতব। আমরা নিশ্চিত ছিলাম, ফাইনালে পৌঁছাতে পারব ও জিততে পারব।”