শেষ ষোলোর লড়াইয়ে রোববার মাঠে আধিপত্য রাখলেও ম্যাচের ফল পক্ষে আনতে পারেনি পর্তুগাল। ম্যাচের প্রায় ৫৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে তারা গোলে শট নেয় ২৩টি, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু পোস্টে লেগে, সুযোগ নষ্ট করে জালের দেখা পায়নি তারা।
গোলের উদ্দেশে বেলজিয়ামের ছয় শটের একটিই ছিল লক্ষ্যে। বাজিমাত সেটিতেই। ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে তোরগান আজারের গোলা শেষ মুহূর্তে বাঁক খেয়ে পর্তুগিজ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে। অনেক চেষ্টায়ও পর্তুগাল আর পারেনি সমতা ফেরাতে।
ম্যাচ শেষে কোচ সান্তোস বললেন, দলের ফুটবলারদের প্রতি তার কোনো অভিযোগ নেই।
“বলটি যদি ভেতরে না ঢুকত! অবশ্যই আমরা হতাশ ও কষ্ট পাচ্ছি। ফুটবলাররা ড্রেসিং রুমে কান্না করছে, হয়তো পর্তুগিজরাও (দেশের মানুষ)।”
পর্তুগাল কোচ অবশ্য ভাগ্যকে দায় দিচ্ছেন না। তবে বলছেন, জয়টা তাদেরই প্রাপ্য ছিল।
“ ফুটবলে ন্যায়বিচার আর অবিচার বলে কিছু নেই। স্রেফ কেউ গোল করে, কেউ পারে না। আমরা গোল হজম করেছি, গোল করতে পারিনি। পর্তুগিজদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিতে সব চেষ্টাই করেছে আমার ফুটবলাররা। আমরা জিততে পারিনি, তবে জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল।”
প্রায় ৭ বছর ধরে পর্তুগালের দায়িত্বে থাকা কোচের বিশ্বাস, এই ম্যাচ জিতলে শিরোপাও জিততে পারত তার দল।
“ আমরা সবাই এটা চাচ্ছিলাম। আমাদের বিশ্বাস ছিল, নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা ছিল। আমরা জানতাম, এই ম্যাচ জিতলে, আরও জিতব। আমরা নিশ্চিত ছিলাম, ফাইনালে পৌঁছাতে পারব ও জিততে পারব।”