‘বিশ্বমানের’ লুকাকু ছুঁতে চান রোনালদোকে

ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটিয়ে আসা রোমেলু লুকাকু ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম পর্বটাও দারুণ করেছেন। লক্ষ্য এবার আরও বড় কিছুর, স্বপ্ন শিরোপা উঁচিয়ে ধরার। সেই অভিযানে তার দল বেলজিয়ামের নকআউট পর্বে প্রথম বাধা পর্তুগাল। কঠিন এই লড়াইয়ে নামার আগে নিজেকে বিশ্বমানের স্ট্রাইকার দাবি করে লুকাকু শোনালেন আরও অনেকটা পথ এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। যতটা সম্ভব ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো সফল হতে চান তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2021, 02:31 PM
Updated : 26 June 2021, 02:31 PM

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর ম্যাচ সামনে রেখে আলোচনায় দুই দলের এই দুই তারকা। সেভিয়ার লা কার্তুহায় বাংলাদেশ সময় রোববার রাত একটায় শিরোপাধারী পর্তুগালের মুখোমুখি হবে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল বেলজিয়াম।

৩৬ বছর বয়সী রোনালদো নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। আর একটি গোল করতে পারলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের বিশ্ব রেকর্ড নিজের করে নেবেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার। ১৭৮ ম্যাচে করেছেন ১০৯ গোল।

বেলজিয়ামের সর্বোচ্চ গোলদাতা ২৮ বছর বয়সী লুকাকুর ৯৬ ম্যাচে গোল ৬৩টি। চলতি আসরে তিন ম্যাচে রোনালদো করেছেন পাঁচ গোল, লুকাকু করেছেন তিনটি।

সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন রোনালদোর মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন শনিবার সাংবাদিকদের লুকাকু বলেন, ইউভেন্তুস ফরোয়ার্ড তার কাছে অনুপ্রেরণার। যতটা সম্ভব তার অর্জনের কাছাকাছি যেতে চান তিনি।

“এই বয়সেও সে নিজেকে মেলে ধরে চলেছে এবং আমি যদ্দুর সম্ভব তার অর্জনগুলোর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করব।”

“যখন কেউ বলে সে আমার চেয়ে ভালো, তখন আমি তাকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। রোনালদো সবকিছুতে সেরা হতে চায়, (ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান) এমবাপেও সবকিছু জিততে চায়।”

বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের সেরা স্ট্রাইকারদের কাতারে নিজেকেও দেখেন লুকাকু।

“আমি বড় একটা ধাপ এগিয়েছি। (রবের্ত) লেভানদোভস্কি, (করিম) বেনজেমা ও (হ্যারি) কেইন বিশ্বমানের স্ট্রাইকার হিসেবে আলোচনায় আসে। আমার ক্ষেত্রে সবসময় মন্তব্যটা ‘সে ছন্দে আছে’ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। তবে, এখন আমিও বিশ্বমানের। এটা ছিল আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য।”

রোনালদো-লুকাকু দুজনেই খেলেন ইতালিয়ান লিগে। সেরি আর ২০২০-২১ মৌসুমে সর্বোচ্চ ২৯ গোল করলেও ইউভেন্তুসকে শিরোপা জেতাতে পারেননি রোনালদো। অন্যদিকে, ইন্টার মিলানের লিগ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল লুকাকুর। ২৪ গোল করার পাশাপাশি সহায়তা করেন ১১টিতে।

ক্লাবের হয়ে শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা জাতীয় দলেও কাজে দেবে বলে বিশ্বাস তার।

“শিরোপা জিততে শুরুটা ভালো করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারের হয়ে সেরি আ জয় আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, আর এখন আমি রেড ডেভিলসের (বেলজিয়াম ফুটবলের ডাক নাম) হয়ে শিরোপা জিততে চাই। এটাই হবে এই দলের চূড়ান্ত স্বীকৃতি। আমি যদি খারাপ খেলি তাহলে নিজের ওপর অনেক হতাশ হবো, দলও হবে। কারণ ফল পাওয়ার এটাই সঠিক সময়।”

বেলজিয়ামের এই সোনালী প্রজন্ম প্রায় তিন বছর ধরে রয়েছে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে, তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো ট্রফি জেতা হয়নি দলটির। তিন বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে দলটি হেরেছিল ফ্রান্সের বিপক্ষে।

সেই সময়ের চেয়ে দল এখন আরও পরিণত বলে মনে করেন লুকাকু।

“বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে আমরা যথেষ্ট পরিণত ছিলাম না। আমরা ভালো করার অনেক চেষ্টা করেও হেরেছিলাম। এখন আমরা জানি, কত ভিন্ন উপায়ে জেতা যায়।”