ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচে চোটাক্রান্ত ওই চার জনেরই মাটে নামা নিয়ে সংশয় আছে।
গত বুধবার ইউরোর শিরোপাধারী পর্তুগালের বিপক্ষে ২-২ ড্র ম্যাচে হাঁটুতে চোট পাওয়ায় বিরতির পর আর মাঠ নামেননি এরনঁদেজ। তার বদলি দিনিয়েও কিছুক্ষণ পর হ্যামস্ট্রিং চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন।
দিনিয়ের বদলি মিফফিল্ডার আদ্রিওঁ রাবিও খেলেন লেফট-ব্যাক হিসেবে। ২০২০-২১ ক্লাব মৌসুমের শেষ দিকে গোড়ালির চোটে পড়া ইউভেন্তুসের এই খেলোয়াড়ও শতভাগ সুস্থ নন।
আর বৃহস্পতিবার অনুশীলনের সময় পায়ে আঘাত পান লুমা। একই দিনের অনুশীলনে ঊরুতে চোট পেয়ে মেডিকেল স্টাফদের সহায়তায় মাঠ ছাড়েন থুরাম।
চোট-আঘাতে জর্জরিত হলেও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই শুরু করবে ফ্রান্স। রক্ষণ কিছুটা দুর্বল হয়ে গেলেও ফরোয়ার্ডরা কোচ দেশমকে দিচ্ছেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। বিশেষ করে পাঁচ বছর পর জাতীয় দলে ফেরা রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করিম বেনজেমা। পর্তুগালের বিপক্ষে দুই বার জালের দেখা পেয়েছেন তিনি।
এখনও গোলের দেখা না পেলেও প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগে নিজের সরব উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপে। তারকা মিডফিল্ডার পল পগবাও পর্তুগালের বিপক্ষে ছিলেন সপ্রভিত। আর দেশমের মতে ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার’ অঁতোয়ান গ্রিজমান আক্রমণের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন রক্ষণেও।
সুইসদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ইতিহাসও ফ্রান্সের পক্ষে। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে দলটির বিপক্ষে কখনও হারেনি তারা। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুইবারের দেখায় ফ্রান্সের জয় একটি, অন্যটি ড্র।
১৯৫৪ বিশ্বকাপের পর থেকে মেজর টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠেনি সুইজারল্যান্ড।
এবার ‘এফ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে, ছয় গ্রুপের তৃতীয় হওয়া দলগুলোর সেরা চারটির একটি হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে সুইসরা।
কোয়ার্টার-ফাইনালে এই ম্যাচের জয়ী দল মুখোমুখি হবে স্পেন ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ীর বিপক্ষে।