হাঙ্গেরির স্বপ্ন ভেঙে নকআউট পর্বে জার্মানি

জিতলে মিলবে পরের রাউন্ডের টিকেট-এমন ম্যাচে দুবার এগিয়ে গিয়ে স্বপ্ন ছোঁয়ার পথেই ছিল হাঙ্গেরি। জার্মানিকে চোখ রাঙাচ্ছিল আরেকটি মেজর টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কা। বদলি নেমে দলকে বাঁচালেন লেয়ন গোরেটস্কা। তার শেষ দিকের গোলে মিলল মহামূল্যবান একটি পয়েন্ট। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোয় উঠল ইওয়াখিম লুভের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2021, 09:01 PM
Updated : 23 June 2021, 10:06 PM

মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বুধবার রাতে ‘এফ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়। ড্র করলেই চলত জার্মানির।

একই সময়ে শুরু আরেক ম্যাচে ফ্রান্সের সঙ্গে পর্তুগাল ২-২ ড্র করায় গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে জার্মানরা। ছয় গ্রুপের তৃতীয় হওয়া দলগুলোর সেরা চারটির একটি হয়ে নকআউট পর্বে পা রেখেছে শিরোপাধারী পর্তুগাল।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের পয়েন্ট ৫। জার্মানি ও পর্তুগালের ৪ পয়েন্ট করে; মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে জার্মানি। বিদায় নেওয়া হাঙ্গেরির অর্জন ২ পয়েন্ট।

শেষ ষোলোয় আগামী মঙ্গলবার লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে জার্মানি।

হাঙ্গেরির শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো। একাদশ মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণ থেকেই এগিয়ে যায় তারা। ডান দিক থেকে রোলান্দ সালাইয়ের ক্রসে ডাইভিং হেডে বল জালে পাঠান অধিনায়ক আদাম সালাই।

পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণ শানায় জার্মানি। ২১তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো তারা, কিন্তু বাধ সাধে দুর্ভাগ্য। কর্নারে মাটস হুমেলসের জোরালো হেড লাগে ক্রসবারে।

ম্যাচের শুরু থেকে মিউনিখে ছিল বৃষ্টি। প্রথমার্ধে যা কখনও বেড়েছে, কখনও কমেছে। এতে বিঘ্ন হয় ফুটবলের স্বাভাবিক ছন্দ।
৬৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে জার্মানি। এই গোলে যথেষ্ট দায় আছে হাঙ্গেরির গোলরক্ষক পেতার গুলাসির। ফ্রি-কিক এগিয়ে এসে পাঞ্চ করতে চেয়ে বল মিস করেন তিনি। হুমেলসের হেডে কাছ থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠান কাই হাভার্টজ।

এক মিনিট পরই আবার এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে ভাসে হাঙ্গেরি। আদাম সালাইয়ের ক্রসে হেডে আগুয়ান গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন আন্দ্রাস।

জার্মানির পরের ধাপের টিকেট মেলে নির্ধারিত সময়ের ছয় মিনিট বাকি থাকতে করা গোলে। টিমো ভেরনারের শট প্রতিহত হওয়ার পর পেয়ে যান গোরেটস্কা। তার শট গোলরক্ষকের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়। উল্লাসে মাতে স্বাগতিকরা।

ড্রয়ের পর থেকে এই গ্রুপকে বলা হচ্ছিল ‘মৃত্যুকূপ’। সেটির প্রমাণও মিলল। শেষ রাউন্ডের আগে ফ্রান্স ছাড়া বাকি তিন দলের সামনে যেমন ছিল পরের ধাপে যাওয়ার সুযোগ, তেমনি ছিল বিদায়ের শঙ্কা। যেখানে শেষ হাসি হাসল জার্মানি ও পর্তুগাল।
আসরে চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছে হাঙ্গেরি। প্রথম দুই ম্যাচ খেলে তারা ঘরের মাঠ বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় প্রায় দর্শকে পূর্ণ গ্যালারির সামনে। প্রথম ম্যাচে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত পর্তুগালকে আটকে রেখে শেষ সময়ে পথ হারিয়েছিল তারা।
পরের ম্যাচে ভয়ডরহীন পারফরম্যান্সে দলটি জন্ম দেয় আসরের অন্যতম সেরা অঘটন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে আটকে দিয়ে তুলে নেয় মূল্যবান একটি পয়েন্ট। আর জার্মানির বিপক্ষে তো জয়ের খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু শেষে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা সঙ্গী হলো তাদের।