বিশ্বকাপ বাছাই ও কোপা আমেরিকা মিলিয়ে শেষ আট ম্যাচের সবকটিতে জিতে রীতিমতো উড়ছে ব্রাজিল। ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখার অভিযান শুরু করা দলটি দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুকে হারায় ৪-০ ব্যবধানে। এমন ছন্দে থাকা দলটিরই মুখোমুখি হবে কলম্বিয়া।
রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায়।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নেইমারদের আটকানোর পরিকল্পনার কথা জানান রুয়েদা। প্রতিপক্ষকে বেশি সময় বলের দখল রাখতে দিতে চান না কলম্বিয়া কোচ।
“ব্রাজিল যে কাজগুলোয় ভালো তার মধ্যে একটি হলো বল পায়ে রেখে খেলা, এভাবেই তারা খেলতে চায়। তাই বেশিরভাগ সময় বল আমাদের দখলে রাখতে হবে। এভাবেই আমরা তাদের আক্রমণের সম্ভাবনাগুলো কমাব। তাদের খেলার জায়গা কমিয়ে আনতে হবে, যেন গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারে। আর এসব করতে মাঠে আমাদের সংঘবদ্ধ থাকতে হবে ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে।”
তিন জন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার খেলানোর পরিকল্পনার বিষয়টি উড়িয়ে দেননি রুয়েদা। আবার আক্রমণেও ধার কমাতে চান না তিনি। বললেন, প্রতিপক্ষকে অকার্যকর করাই মূল পরিকল্পনা।
“এটা (তিনজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার খেলানো) অনেকগুলোর সম্ভাবনার একটি, তবে এটা আমার প্রথম পছন্দ না। আমরা সবসময় চেষ্টা করব আরও আক্রমণাত্মক খেলার। ম্যাচটি আঁটসাঁট হবে।…আমাদের মূল পরিকল্পনা প্রতিপক্ষকে অকার্যকর করা।”
নেইমার-গাব্রিয়েল জেসুসদের কীভাবে অকার্যকর করে রাখতে চান, সেই পরিকল্পনার কথাও বললেন কলম্বিয়ার কোচ হিসেবে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে প্রথম হারের স্বাদ পাওয়া রুয়েদা।
“এটা হতে হবে মিলিত প্রচেষ্টা, দায়িত্বটা কেবল রক্ষণের নয়। প্রত্যেককেই দায়িত্ব নিতে হবে। মূল কাজ হলো ব্রাজিলের আক্রমণের ধার কমিয়ে আনা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নেইমারের কাছে পাস যাওয়া…কেবল নেইমার নয়, আক্রমণের সবার কাছেই পাস যাওয়া আটকাতে হবে। আমাদের খুব মনোযোগী হতে হবে।”
তিন ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে কলম্বিয়া। ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল।
দুই ম্যাচে পেরুর পয়েন্ট ৩। তিন ম্যাচে ভেনেজুয়েলার অর্জন ২ পয়েন্ট। দুই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে একুয়েডর।