কাতারে ২০২২ সালের নভেম্বরে শুরু হবে চার সপ্তাহব্যাপী এই টুর্নামেন্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছিলেন, বিশ্বকাপে দেখা যেতে পারে দর্শকপূর্ণ গ্যালারি।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ খালিদ বিন খলিফা বিন আব্দুলআজিজ আল থানি রোববার আশা প্রকাশ করেন, বিশ্বকাপ শুরুর আগেই হয়তো অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের টিকার আওতায় আনতে পারবে। এরপরও আগত দর্শকদের কথা মাথায় রেখে টিকার ডোজ মজুদের বিষয়টি জানান তিনি। কয়েকটি সংবাদপত্রকে বলা তার এই কথা প্রকাশিত হয়েছে কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কিউএনএ-তে।
“১০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকার জন্য একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। কাতার সফর করা কিছু মানুষের সুরক্ষার জন্য এটা লাগবে।”
তবে কীভাবে তাদেরকে টিকা দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি। অধিকাংশ করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয় কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে।
কাতার তাদের নাগরিকদের দিচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা। রয়টার্স কোভিড-১৯ ট্র্যাকারের তথ্যমতে বলা হয়েছে, দেশটি ২৮ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে যা তাদের ৫০.৮ শতাংশ নাগরিকদের টিকার আওতায় আনতে পারে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাতারের দোহায় হবে ২০২১ আরব কাপ। বিশ্বকাপের জন্য দেশটি কতটা প্রস্তুত তার একটা ধারণা এই টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস শেখ খালিদের।
তিনি জানান, অধিকাংশ স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হয়েছে। তিনটির কাজ এখনও চলছে। এর মধ্যে একটি লুসাইল স্টেডিয়াম, যেখানে হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল। স্টেডিয়ামটির কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে।