স্কটল্যান্ডের গ্ল্যাসগোয় আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া। ইংল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরে ইউরো শুরুর পর চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে খাদের কিনারে আছে বিশ্বকাপের রানার্সআপরা।
দুই রাউন্ড শেষে ‘ডি’ গ্রুপে ৪ করে পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে শীর্ষে চেক রিপাবলিক। দ্বিতীয় স্থানে ইংল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে থাকা ক্রোয়েশিয়া ও তলানির দল স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট ১ করে।
গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পেরুতে হলে স্কটিশদের বিপক্ষে জিততেই হবে ক্রোয়েশিয়াকে। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের ফলের দিকে। রোববার নিজেদের অনুশীলন ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে পেতকোভিচ অবশ্য বললেন, অন্য ম্যাচ নয়, নিজেদের করণীয় নিয়ে ভাবছেন তারা।
“স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সব প্রশ্নের উত্তর দিবে। আমাদের পারফরম্যান্স এবং পয়েন্ট দেখাচ্ছে এ পর্যন্ত আমরা গড়পড়তার চেয়েও নিচু মানের ফুটবল খেলেছি। আমরা জানি, দিন শেষে ফল দিয়েই বিচার করা হবে আমাদেরকে। পরীক্ষায় উতড়ানোর সামর্থ্য যে আমাদের আছে, তা দেখানোর জন্য স্কটল্যান্ড ম্যাচ আমাদের মোক্ষম সুযোগ।”
“স্কটিশরা জমাট দল। তাদের ভাঙা যে কঠিন, সেটা ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ০-০ ড্র ম্যাচে পরিষ্কার হয়েছে। তাদের ছোটখাট দুর্বলতা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে আমাদের।”
সবশেষ দুই ম্যাচে পেতকোভিচকে বসিয়ে রেখে আন্তে রেবিচকে ‘ফলস নাইন’ পজিশনে খেলানোর ছক কষেছিলেন কোচ জ্লাতকো দালিচ। কিন্তু ক্রোয়াট কোচের কৌশল কাজে আসেনি মোটেও। বরং পেতকোভিচ বদলি হিসিবে নামার পর দলটির খেলার ছন্দ এবং দাপট দুটোই বেড়েছিল। চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে দালিচও মেনে নেন, সুতোর ওপর ঝুলছে তাদের ভাগ্য।
“দলের এই অবস্থায় আমি খুশি নই এবং গ্রুপের শেষ ম্যাচ সামনে রেখে সাচ্ছন্দ্যও বোধ করছি না। আমি যেমনটা চেয়েছিলাম কিংবা যেমন পরিকল্পনা করেছিলাম তা এই ক্রোয়েশিয়া দল দেখাতে পারেনি।”
“কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক করার জন্য এখনও আমাদের হাতে একটা ম্যাচ আছে। শুরুর দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স অনুপ্রেরণাদায়ী নয় এবং সেখান থেকে খুব কম ইতিবাচক বিষয়ই নেওয়ার আছে। কেননা, ফলই আবহটা তৈরি করে দেয়।”
স্কটল্যান্ড কিছুটা হলেও ফুরফুরে মেজাজে আছে। ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে রুখে দেওয়ার তৃপ্তি তাদের সঙ্গী। অবশ্য তারাও জানে ইউরোর নকআউট পর্বে যেতে জয়ের বিকল্প নেই তাদের সামনেও। চেক রিপাবলিকের কাছে ২-০ গোলে হেরে যাত্রা শুরু করা স্কটিশরা টেবিলে আছে তলানিতে।
জমাট রক্ষণে ইংল্যান্ডকে আটকে রাখায় পুরস্কার স্কটিশদের জন্য তখনই মিলবে, যদি তারা ক্রোয়েশিয়ার সীমানায়ও ভীতি ছড়াতে পারে, জালে বল পাঠাতে পারে। দলটির সেন্টার-ব্যাক গ্রান্ট হ্যানলি আশাবাদী।
“অবশ্যই আমরা আমাদেরটা কাজটা শেষ করতে চাই এবং গত শুক্রবার রাতে যেটা করেছি (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র), সেটা নষ্ট হতে দিতে চাই না। আমরা ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি এবং যদি গ্রুপ পর্ব পেরুতে হয়, তাহলে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের।”