মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে শিরোপাধারীদের ৪-২ গোলে হারিয়েছে জার্মানি।
গোসেন্স জার্মানির ব্যতিক্রমী ফুটবলারদের একজন যিনি নিজ দেশে বয়সভিত্তিক দলে না খেলেই পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। ২০১৮ সালে উয়েফা নেশন্স কাপে স্পেনের বিপক্ষ ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় আতালান্তা ডিফেন্ডারের।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে লুভ জানান, দলীয় খেলোয়াড় হিসেবে নিজের অবস্থান এবং ব্যক্তিত্ব দিয়েই ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে এসেও দলের সাথে দ্রুত মানিয়ে নিয়েছেন গোসেন্স।
“বছর দুয়েক আগে আমরা তাকে দলে নেই। সে খুব দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে এবং দলীয় সংহতিতে ভূমিকা রাখছে।”
“একজন ব্যক্তি ও ফুটবলার হিসেবে সে উঁচু মানের। কারণ খুবই খোলা মনের, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। সতীর্থদের সাথে তার সম্পর্ক দারুণ।”
ম্যাচের শুরু থেকেই পর্তুগালের আক্রমণভাগে ভীতি ছড়ান গোসেন্স। দলটির প্রথম আত্নঘাতী গোলে গোসেন্সের ছিল সরাসরি অবদান। ডি-বক্সে তার বাড়ানো বল বিপদমুক্ত করতে গিয়েই পর্তুগালের ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াস নিজেদের জালে ঠেলে দেন।
বিরতির পর হাভার্টজকে দিয়ে দলীয় তৃতীয় গোল করানোর পর নিজেই করেন চতুর্থ গোল।
চাপের মুখে থাকা জার্মান দলকে সঞ্জীবনী শক্তি যোগাতে গোসেন্সের লড়িয়ে মানসিকতাই মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেন লুভ।
“আমি জানি না, এটা তার জীবনের সেরা ম্যাচ কিনা, সম্ভবত সেটা তার এখনও খেলা বাকি আছে। এটা তার অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল। কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি আক্রমণে সে নিয়মিত হুমকির কারণ ছিল।”
“তার চিন্তাভাবনা পরিষ্কার। সে যেমন মাঠে তেমনই খেলে; কঠোর নিয়মতান্ত্রিক, সোজাসাপ্টা এবং সংকল্পবদ্ধ। এভাবেই সে লড়াই করে। আর এই বিষয়গুলো তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী ২৩ জুন মিউনিখে হাঙ্গেরির বিপক্ষে খেলবে জার্মানি। দুই ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ তিন পয়েন্ট।