মুখের অবশ অনুভূতি খেলায় প্রভাব ফেলবে না: ডে ব্রুইনে

আঘাত পাওয়া মুখের বাঁ পাশটা সেরে ওঠেনি এখনও। অনুভূতি নেই। তবে তা কেভিন ডে ব্রুইনের গত ম্যাচের পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব ফেলেনি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সামনেও এতে কোনো সমস্যা হবে না বলে বিশ্বাস বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2021, 05:46 PM
Updated : 19 June 2021, 05:46 PM

গত ২৯ মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নাক ফেটে যায় ম্যানচেস্টার সিটি তারকার। বাঁ অক্ষিকোটরের হাড়ে ধরা পড়েছিল চিড়। সফল অস্ত্রোপচারের পর বাড়িতে এক সপ্তাহ বিশ্রাম শেষে যোগ দেন জাতীয় দলে।

আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে বদলি নেমে পিছিয়ে থাকা দলকে জেতান গোল করে ও করিয়ে।

কোপেনহেগেনে ২-১ ব্যবধানে জয়ের ওই ম্যাচেও মুখের ওই অনুভূতিশূন্য অবস্থা ছিল তার, শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে বললেন ডে ব্রুইনে।

“এটা কিছুটা বিরক্তিকর। তবে এর সঙ্গে আমি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। হেড দেওয়ার ক্ষেত্রেও আমি এখন কম ভয় পাই। যখন মাঠে থাকি তখন এটা নিয়ে ভাবি না।”

চেলসি ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগারের সঙ্গে সংঘর্ষে আঘাতটা পেয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার। পোর্তায় ম্যাচটি হেরে যায় সিটি। তবে রুডিগারের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই ডে ব্রুইনের।

“রুডিগারের প্রতি আমার খারাপ লাগা নেই। মাঠে এমন ঘটনা ঘটেই। সে নাক ফাটাতে নয়, আমাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। আমি দুর্ভাগ্যের শিকার।”

সেদিন চোট নিয়ে চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন ডে ব্রুইনে। ইউরোর আগে দলের তারকা ফুটবলারের এমনভাবে মাঠ ছাড়ার দৃশ্যে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ছিলেন বেলজিয়ান সমর্থকরা।

তবে তাদের হতাশাটা লম্বা হয়নি। আগামী সোমবার ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ফিরতে পারেন তিনি। দিলেন এমনই আভাস।

“জানতাম রাশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি আমি খেলতে পারব না, তবে ডেনমার্কের বিপক্ষে কিছু সময় খেলতে পারি। আমার মনে হয় ৪৫ মিনিট (ডেনমার্কের বিপক্ষে) খেলার পর ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুর একাদশে থাকাটা ছন্দ ফিরে পাওয়ার জন্য হবে আদর্শ।”
 
“ফিরতে পেরে আমি খুশি। প্রথম আধা ঘণ্টা ভালোই ছিল। এরপর ছিল আরও কঠিন, তবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ তিন সপ্তাহের মধ্যে আমি প্রথম খেলতে নেমেছিলাম। আশা করি, ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে লম্বা সময় ধরে লড়তে সমর্থ হব।”
 
‘বি’ গ্রুপে দুই ম্যাচে শতভাগ জয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে ডে ব্রুইনের বেলজিয়াম। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা দলটির পয়েন্ট ৬। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট করে রাশিয়া ও ফিনল্যান্ডের। ডেনমার্কের পয়েন্ট শূন্য।