ডে ব্রুইনের খেলা দেখে কোচের মনেই হয়নি, চোটে লম্বা একটা সময় বাইরে ছিল সে। অনুশীলনেও ফিরেছে মাত্র কদিন আগে।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে ইতালির পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় ওঠে বেলজিয়াম।
কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামকে চমকে দিয়ে দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের ঘটনায় মুষড়ে পড়া স্বাগতিক দল এদিন শুরু থেকে ছিল উজ্জীবিত। ম্যাচজুড়ে তাদেরকে উৎসাহ দিতে থাকেন দর্শকরাও।
ম্যাচের দশম মিনিটে এরিকসেনের সম্মান ও সমর্থনে গ্যালারিতে উপস্থিত সব দর্শক একসঙ্গে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে থাকে। রেফারি তখন খেলা থামিয়ে দেন, দু’দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগ দেন তারাও। মার্তিনেসের মতে, দর্শকদের প্রাণবন্ত সমর্থন মাঠের লড়াইয়ে প্রভাব ফেলেছিল।
“দর্শকরা অভূতপূর্ব একটা আবহ তৈরি করেছিল। দর্শকরাই স্বাগতিক দলকে এক গোলে এগিয়ে দিয়েছিল এবং ওই সময়ে থমকে গিয়েছিলাম আমরা।”
“নিজেদের ফিরে পেতে আমাদের সম্ভবত ২০ মিনিটের মতো সময় লেগেছিল, কিন্তু আমাদের খেলায় ডেনমার্কের মতো ইচ্ছাশক্তি, হৃদয় এবং চাপ ছিল না। আমার কাছে মনে হয়, প্রথমার্ধে সবকিছুতে ভীষণ আবেগ জড়িয়ে ছিল।”
বদলি হিসেবে মাঠে নামার অপেক্ষায় ডে ব্রুইন, পাশে বেলজিয়াম কোচ রবের্তো মার্তিনেস
“দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় ভারসাম্য ছিল। আমরা অবিশ্বাস্য লড়াকু মানসিকতা দেখিয়েছি, দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় দিয়েছি এবং যা করণীয় ছিল, তাই করেছি। এ ধরনের জয় উপভোগ্য এবং স্মরণীয়। এটা দল হিসেবে আমাদেরকে আরও ভালো করবে।”
“তার (ডে ব্রুইনে) প্রতিভা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। বিরতির পর নেমে সে যেভাবে খেলায় প্রভাব রেখেছে, সেটা অনেক বড় ব্যাপার। দ্বিতীয়ার্ধে সে যেভাবে খেলেছে, তাতে মনেই হয়নি তার অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং ফুটবল মাঠ থেকে সে দূরে ছিল। এতে প্রমাণ হয়, সে নিজের প্রতি কতটা যত্ন নিয়েছে, অনুশীলনে কতটা মনোযোগী ছিল।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চোট পাওয়ার পর থেকে মাঠের বাইরে ছিলেন ডে ব্রুইনে। শুরুতে ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের ইউরোয় খেলা নিয়েই শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরেই দেখিয়ে দিলেন, কেন তাকে সময়ের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন বলা হয়। ডে ব্রুইনের খেলায় চোখ জুড়িয়েছে ৫৭ বছর বয়সী কোচের।
“লম্বা সময়ের পর মাঠে নেমেই নিজেকে এভাবে মেলে ধরা এবং ম্যাচে প্রভাব রাখা…সত্যিই দারুণ।”