২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে ‘ই’ গ্রুপে ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে বাংলাদেশ। দুটি পয়েন্ট বাংলাদেশ পায় ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ড্র করে। বাকি ৬ ম্যাচে হেরে যায় দল।
এএফসির আগের ফরম্যাট অনুযায়ী আট গ্রুপের চতুর্থ স্থান পাওয়া আট দলের মধ্যে নিচের চার দল এবং পঞ্চম হওয়া আট দল, মোট ১২ দল নিয়ে হতো প্লে-অফ। সে হিসেবে প্লে-অফ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের।
বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে ‘এফ’ গ্রুপে মিয়ানমার ৬, ‘ডি’ গ্রুপে ইয়েমেন ৫, ‘ই’ গ্রুপে বাংলাদেশ ২, ‘জি’ গ্রুপে ইন্দোনেশিয়া ১, ‘সি’ গ্রুপে কম্বোডিয়া ১, ‘বি’ গ্রুপে চাইনিজ তাইপে ০ এবং ‘এ’ গ্রুপে গুয়াম ০ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে শেষ করে।
এএফসি বুধবার নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তলানিতে থাকা দলগুলোর মধ্যে সবার নিচে থাকা চার দলকে মূল বাছাইয়ে জায়গা পেতে খেলতে হবে প্লে-অফ।
ফলে পঞ্চম স্থান পাওয়া দলগুলোর মধ্যে উপরে থাকা তিন দল মিয়ানমার, ইয়েমেন ও বাংলাদেশ সুযোগ পাচ্ছে সরাসরি বাছাইয়ে খেলার। মূল পর্বে জায়গা পাওয়ার বাকি দুই টিকেটের জন্য ইন্দোনেশিয়া, চাইনিজ তাইপে, কম্বোডিয়া ও গুয়ামকে খেলতে হবে প্লে-অফ।
বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে ৪০ দলের মধ্যে উত্তর কোরিয়া নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল আগেই। ফলে ৩৯ দল আটটি গ্রুপ ভাগ হয়ে খেলেছে।
যৌথ বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপের খেলা শেষে ২০২৩ এশিয়ান কাপের স্বাগতিক চিন এবং আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও চার সেরা রানার্সআপ মিলিয়ে ১৩ দল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে।
বাছাইয়ের আট গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া বাকি তিন দল, তৃতীয় ও চতুর্থ হওয়া মোট ১৬ দল এবং উত্তর কোরিয়া সরে দাঁড়ানোয় পঞ্চম হওয়া সাত দলের মধ্যে উপরে থাকা তিন দল, মোট ২২ দল এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্বে খেলবে।
২০১৮ বিশ্বকাপ ও ২০১৯ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে তলানিতে থাকায় এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্লে-অফ খেলতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেবার ভুটানের কাছে হেরে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ১৬ মাসের জন্য নির্বাসনে গিয়েছিল দল।
২০২৩ সালে চীনে এশিয়ান কাপ ১৬ জুন শুরু হয়ে ১৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।