কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে শনিবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ‘বি’ গ্রুপে ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ পড়ে যান এরিকসেন। তখনই ছুটে যান দুই দলের খেলোয়াড়রা। মাঠে শুরু হয় চিকিৎসা। দেওয়া হয় সিপিআর।
পরে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা জানায়, হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এরিকসেনকে। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছিল। ডেনিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও সবশেষ জানিয়েছে ভালো বোধ করছেন এরিকসেন। তাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ফুটবলপ্রেমীদের মনে।
বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে জামাল ও তারিক বর্তমানে কাতারের দোহায়। ওমান ম্যাচের প্রস্তুতির মধ্যেও ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্যাচ দেখতে বসেছিলেন দুজনে। মুঠোফোনে বার্তাও চালাচালি করছিলেন নিজ-নিজ দলের সমর্থনে। কিন্তু এরিকসেনের ঘটনায় স্তম্ভিত জামাল। স্মরণ করলেন কৈশরে এরিকসেনের বিপক্ষে খেলার স্মৃতি।
“যখন শুনলাম এরিকসেনের হার্ড অ্যাটাক হয়েছে, অনেক অনেক খারাপ লেগেছে। শুধু তার জন্য নয়, ডেনমার্ক দলের খেলোয়াড়দের জন্যও, যারা ওর সঙ্গে খেলে এবং ওর পরিবারের জন্য খারাপ লেগেছে। যারা ফুটবল খেলে, পেশাদার, অপেশাদার সবাই ওর জন্য দোয়া করছে।”
“দুইবার ওর বিপক্ষে আমি খেলেছি। যখন আমাদের বয়স ১৫ বা ১৬ বছর ছিল, এটা তার আয়াক্সে যোগ দেওয়ার আগে। ওই সময় ম্যাচের আগে আমাদের কোচ আমাকে বলল, প্রতিপক্ষ দলে একজন বিস্ময় বালক আছে। ওই সময় আমি মনে করেছি, বিস্ময় বালক কি করবে, আমি ওকে মেরে ফেলব (হাসি)…কিন্তু যখন ম্যাচ শুরু হলো, আমরা এগিয়ে ছিলাম, তখন ও একেবারে আচমকা দুইটা গোল করল। ওই ম্যাচ আমরা জিতেছিলাম। দ্বিতীয় ম্যাচে ও আবার আমাদের বিপক্ষে দুটো গোল করল। ওই মুহূর্তে বুঝতে পারলাম ছেলেটা (এরিকসেন) বিস্ময় বালক। এক মাস পর আয়াক্স ওকে কিনে নিল।”
শনিবারের ঘটনাবহুল ম্যাচে ১-০ গোলে জিতে তারিকের দল ফিনল্যান্ড। দলের জয়ে স্বাভাবিকভাবে খুশি এই ডিফেন্ডার। কিন্তু এরিকসেনের দ্রুত মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছেন তিনিও।
জামালের বিপক্ষে দ্বৈরথে জিতে খুশি তারিক, “জামাল যেহেতু ডেনমার্কের, সেহেতু ওর সঙ্গে আমার একটা দ্বৈরথ আছে। ওকে বলেছিলাম ফিনল্যান্ড জিতবে এবং সেও তার ডেনমার্কের পক্ষে ছিল। ভালো ফলটা পেয়েছি আমিই।”
বাংলাদেশ অধিনায়ক জামালও জানিয়েছেন ফিনল্যান্ড-ডেনমার্ক ম্যাচ নিয়ে তারিকের সঙ্গে মুঠোফোনে বার্তা চালাচালির কথা।
“ম্যাচের আগে তারিক আমাকে জিজ্ঞেস করে, ম্যাচটা আমি দেখব কিনা, বললাম অবশ্যই দেখব। শুরুর পর, ও মাঝে মাঝে ম্যাসেজ দিয়েছে, আমিও ফিরতি মেসেজ দিয়েছি।”
কাতারের দোহায় জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ওমানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী মানলেও ভালো ফল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তারিক।
“ওমান খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। জমাট এবং ভালো দল। তারা বল পায়ে রাখবে। গত সপ্তাহে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি, দলের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশা করি, ভালো একটি ফল পাব ওমানের বিপক্ষে।