ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচে রোমে শুক্রবার চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালির আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে প্রথমার্ধে রক্ষণ জমাট রাখলেও শেষে আর পেরে ওঠেনি তুরস্ক। আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়া দলটি হেরে যায় ৩-০ গোলে।
দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সময় বল দখলে রাখা ইতালি গোলের উদ্দেশে শট নেয় মোট ২৪টি, যার আটটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, তুরস্কের তিন শটের একটিও লক্ষ্যে ছিল না।
শুরুটা খারাপ করলেও দলটি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে ভালো কিছু করার প্রত্যয় ফরোয়ার্ড কেনান কারামানের কণ্ঠে।
"আজকের (শুক্রবারের) পারফরম্যান্সের জন্য আমরা দুঃখিত। টেনিক্যালি ইতালি আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। কিন্তু এটা একটি টুর্নামেন্ট, তাই আমাদের পরবর্তী দুই ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।"
সামর্থ্য অনুযায়ী নিজেদের মেলে না ধরতে পেরে হতাশ তুর্কি লেফটব্যাক মেরাস।
"যেভাবে ভেবেছিলাম মাঠে আমরা তার প্রতিফলন ঘটাতে পারিনি। আমরা দুঃখিত। বাকি দুই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট অর্জন করাই এখন আমাদের লক্ষ্য।"
শিষ্যদের খেলায় অসন্তুষ্ট কোচ সেনোল গিনেশও। হতাশা ঝরেছে তার কণ্ঠেও।
"আমি আরও ভালো খেলা আশা করেছিলাম, আমি হতাশ। আমরা স্বাগতিকদের কাছে হেরেছি, আমরা দুঃখিত।"
"খেলোয়াড়দের লড়াকু মানসিকতায় আমি গর্বিত, তবে পুরো ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ ছিল ইতালির হাতেই। আমরা ড্র করলে কিংবা জিতলেও আমি আমার দলের একইরকম সমালোচনা করতাম।”
ফুটবল ইতিহাসে তুরস্কের সবচেয়ে বড় অর্জন ২০০২ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া। ওই সাফল্যও এসেছিল কোচ গিনেশের হাত ধরে। দ্বিতীয় মেয়াদে স্বদেশের দায়িত্বে থাকা এই অভিজ্ঞ কোচের আশা, ওয়েলসের বিপক্ষে তার দল ভালো করবে।
“স্বাভাবিকভাবেই আমাদের খুব খারাপ লাগছে। তবে তার মানে এই নয় যে বুধবার ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে আমরা প্রস্তুত থাকবো না। বরং আমরা আরও উজ্জীবিত থাকব।”
বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলে এই নিয়ে সাত আসরের প্রতিটিই হেরে শুরু করল দলটি। অন্তত এমন তিনটি টুর্নামেন্ট খেলেছে, কিন্তু প্রথম ম্যাচে জিততে না পারা একমাত্র দল তারাই।
তাদের সামনে এখন ব্যর্থতার জাল ছিড়ে বেরিয়ে আসার কঠিন চ্যালেঞ্জ। ‘এ’ গ্রুপে তুরস্কের আরেক প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড।