নেচে-গেয়ে-আতশবাজি পুড়িয়ে শুরু ইউরো

রিমোর্ট কন্ট্রোল চালিত ছোট্ট একটি গাড়িতে মাঝমাঠে পাঠনো হলো বল। শুরু হলো ফুটবলের বড় এক টুর্নামেন্ট- ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। ছোট্ট কিন্তু প্রাণ প্রাচুর্যে পূর্ণ একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে পর্দা উঠল ইউরো ২০২০-এর।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2021, 07:26 PM
Updated : 11 June 2021, 08:12 PM

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যে কোনো ছোট আয়োজনও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে এবারের আসরের খেলা হবে ইউরোপের নানা প্রান্তে। ভবিষ্যৎ গতিপথ কেমন হবে, সময়ই বলে দেবে। তবে শুরুটা হলো উৎসবমুখর পরিবেশে।

রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় ইউরো ২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আতশবাজির ঝলকানি। ছবি: রয়টার্স

মহামারীকালে বিভিন্ন বিধি নিষেধের জন্য স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশাধিকার সীমিত। তবে যারা এসেছেন ইতালি-তুরস্কের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে তাদের মাঝে কমতি নেই কিছুরই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় তারা গলা ফাটিয়ে অংশ হয়ে থেকেছে আলো-ছায়া, রঙ আর গানের বর্ণিল আয়োজনের।

মাঠে ছিল বিশাল সব রঙিন বল। স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে নেমে আসেন একেক জন ড্রম বাদক। গানের তালে তালে তোলা হয় চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়া দেশগুলোর পতাকা।

ইউরোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওড়ানো হয় বেলুন। ছবি: রয়টার্স

মাঠে আন্দ্রেয়া বোসেল্লি পরিবেশন করেন নেসসুর দরমা, যিনি ১২ বছর বয়সে পুরো অন্ধ হয়ে যান ফুটবলকেন্দ্রীক এক দুর্ঘটনায়। এই গানটি ১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপে গেয়েছিলেন লুসিয়ানো পাভারত্তি।

এরপর উয়েফার অফিসিয়াল গান পরিবেশন করেন মার্টিন গ্যারিক্স, বোনো এবং দা এজ। শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা, শুরু হয় মাঠের লড়াই।