এতে বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার ১০ দলের প্রতিযোগিতাটি মাঠে গড়ানোর শঙ্কা অনেকটাই কেটে গেছে। তৃতীয় আবেদনটিও আদালত খারিজ করে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিযোগিতাটির ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই দেশের যৌথ আয়োজনে হওয়ার কথা ছিল এবারের আসর। তবে কলম্বিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন চলায় সেখান থেকে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়। আর্জেন্টিনা চেয়েছিল এককভাবে আয়োজন করতে। কিন্তু দেশটির করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখান থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয়।
অবাক করার বিষয় হলো, যে কারণে আর্জেন্টিনা থেকে এবারের কোপা আমেরিকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সেই কোভিড-১৯ এর প্রকোপ ব্রাজিলে আরও বেশি। স্বাগতিক দলসহ অন্যান্য কয়েকটি দলের খেলোয়াড়রাও এত খারাপ পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্তে সমালোচনা করেছিলেন।
তবে নিজের দেশের করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতির বিষয়টি কখনোই গুরুত্ব সহকারে না দেখা এবং সবসময় লকডাউনের বিপক্ষে মত দেওয়া ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো তার দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের পক্ষে শুরু থেকেই। দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষ যদিও এর বিপক্ষে।
তবে, সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ব্রাজিল ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে কোপা আমেরিকার ৪৭তম আসর।