বার্সেলোনার চেয়ে ফ্রান্সে ‘স্বাধীন’ গ্রিজমান

ফ্রান্সের জার্সিতে তিনি যতটা উজ্জ্বল, বার্সেলোনায় ঠিক ততটা নন। এ কারণে প্রায়ই ধেয়ে আসে সমালোচনার তীর। দুই দলের হয়ে পারফরম্যান্সের পার্থক্যের কারণ জানালেন অঁতোয়ান গ্রিজমান। বললেন, জাতীয় দলে তিনি যতটা স্বাধীন-মুক্ত, কাম্প নউয়ে ততটা নন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2021, 10:03 AM
Updated : 11 June 2021, 10:07 AM

দুই দলে ভূমিকা এক নয় গ্রিজমানের। বার্সেলোনায় আক্রমণ গড়ে ওঠে লিওনেল মেসিকে ঘিরে। ফ্রান্সে সেই ভূমিকায় থাকেন গ্রিজমান। ইউরো অভিযানে বর্তমানে জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন গত আসরের সর্বোচ্চ এই গোলদাতা। সেখানেই বললেন, জাতীয় দলে ও বার্সেলোনায় তার দুরকম ভূমিকার কথা।

“ফ্রান্সে আমি শ্রদ্ধা অর্জন করেছি। যারা ফুটবল বোঝে, তারা জানে আমি যেখানে গিয়েছি, সেখানে কতটা ভালো করেছি। জাতীয় দলে প্রতিটি বল আমার পা ঘুরে যায়, আমি নিজেকে স্বাধীন অনুভব করি, যেমনটা করতাম আতলেতিকো মাদ্রিদে খেলার সময়।”

“বার্সেলোনার চেয়ে আমি ফ্রান্স দলে স্বাধীন অনুভব করি, সেটা বল পাওয়ার ক্ষেত্রে হোক, ফিনিশিং করার ক্ষেত্রে হোক। যখন রক্ষণে প্রয়োজন হয়, দলের প্রয়োজন অনুসারে তা করি। কখনও আমি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, কখনও ফুল ব্যাকের মতো খেলি। সেখান থেকে আমি আক্রমণে ওঠার জন্য মুক্ত থাকি এবং আমি ভালো অনুভব করি।”

এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আগামী মঙ্গলবার জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হবে ফ্রান্সের। ‘এফ’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ পর্তুগাল ও হাঙ্গেরি।

আতলেতিকো থেকে বার্সেলোনায় আসার শুরুর সময়টা ভালো কাটেনি গ্রিজমানের। তবে ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ জেতা এই ফরোয়ার্ড জানালেন, পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আশাবাদ।

“বার্সেলোনা যখন আমাকে উইংয়ে কাজে লাগায়, ‘ওয়ান অন ওয়ান’ পজিশনে আমি ড্রিবলের জায়গা পাই না; গতি পাই না। তখন আমি প্রতিপক্ষের লক্ষ্যও না।”

“কখনও কখনও অতিরিক্ত সমালোচনার শিকার হয়েছি। তারপরও বলব, আমি মনে করি ২০২১ সালে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।”

কাম্প নউয়ে শুরুর দিকে বেঞ্চে বসে থাকা সময়ের বিরক্তিকর মুহূর্তগুলোর কথাও জানালেন গ্রিজমান।

“যখন লা লিগায় হারি, তখন খারাপ লাগে। মৌসুমের শুরুর দিকেও আমি খেলতাম না এবং নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে পারতাম না। সবসময়, সব বড় ম্যাচে খেলতে অভ্যস্ত ছিলাম আমি এবং (এখানে এসে) দেখলাম মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে আমি বেঞ্চে।”

“যখন সতীর্থরা মাঠে নামার জন্য গা গরম করতে শুরু করে, তখন বেঞ্চে বসে থাকাটা বিরক্তিকর। কিন্তু এগুলো কোচের সিদ্ধান্ত এবং এটা মেনে নিতে হয় এবং কোচের ভাবনা বদলের জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করতে হয় তখন।”