চুক্তির একটি ধারা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তেভেস। সে অনুযায়ী ৩০ জুন বোকার সঙ্গে শেষ হবে তার চুক্তির মেয়াদ।
আর্জেন্টিনার এই ক্লাবের হয়েই ২০০১ সালে সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করেন তেভেস। নিজের সোনালী সময়টা কাটিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, ইউভেন্তুসের মতো ক্লাবে। ২০১৫ সালে ফেরেন বোকায়। পরের বছর চাইনিজ সুপার লিগের ক্লাব সাংহাই সেনহুয়া হয়ে ২০১৮ সালে আবারও ফেরেন শৈশবের ক্লাবে।
ক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেন ৩৭ বছর বয়সী তেভেস। কিছু দিন আগে বাবা হারানো এই স্ট্রাইকারের ভাবনায় এখন স্রেফ পরিবার।
“এখন আমার মায়ের সঙ্গে থাকা দরকার। আমাকে এখন একজন আদর্শ ছেলে হতে হবে। তিন মাস আগে আমি বাবাকে হারিয়েছি। আমি এখন বাবা হতে চাই, ছেলে হতে চাই, ভাই হতে চাই। এখন আমার মাথায় কেবল এই একটি জিনিসই আছে।”
বোকা জুনিয়র্সে তিন মেয়াদে পাঁচটি লিগ, একটি কোপা লিবার্তাদোরেস ও একটি কোপা সুদামেরিকানাসহ মোট ১১টি শিরোপা জিতেছেন তেভেস। পেশাদারি ক্যারিয়ার চালিয়ে যাবেন কিনা তা খেলসা করেননি তিনি। তবে জানিয়েছেন ভিন্ন ভূমিকায় ক্লাবটিতে ফেরার উচ্ছার কথা।
“এই ক্লাবের সঙ্গে এটা চিরবিদায় নয়, শিগগির আবার দেখা হবে। সমর্থকদের সঙ্গে আমি সবসময় এখানে থাকব। খেলোয়াড় হিসেবে নয়…। আমার সিদ্ধান্তে আমি অটল। দেয়ার মতো আমার আর কিছু নেই।”
“একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলার পর ৩১ বছর বয়সে আমি ক্লাবে ফিরেছিলাম। এখন আমার মন বলছে, ক্লাব ছাড়তে হবে এবং পরিবারকে দেখতে হবে।”
ক্লাবটির হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ৫৬ ম্যাচে ২৫ গোল করার পর চীনে পাড়ি জমান তেভেস। ফেরার পর শুরুর একাদশে খেলা ১০ ম্যাচে করেন তিন গোল, জেতেন সুপারলিগা।
কঠিন ২০১৮-১৯ মৌসুম পার করার পর পরের আসরের শেষ দিনে তার গোলেই লিগ ঘরে তোলে বোকা।
ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরুনো এই তারকা আর্জেন্টিনার হয়ে ৭৩ ম্যাচে করেছেন ১৩ গোল।