রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাসিলিয়ায় মঙ্গলবার সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বোলসোনারো বলেন, তার মন্ত্রিসভা ও সরকার কোপা আমেরিকা আয়োজনে রাজি হয়েছে।
কোপা আমেরিকার ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই দেশের যৌথ আয়োজনে হওয়ার কথা ছিল এবারের আসর। কিন্তু কলম্বিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন চলায় গত ২০ মে সেখান থেকে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়ার কথা জানায় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। পরে আর্জেন্টিনা চেয়েছিল এককভাবে আয়োজন করতে। কিন্তু দেশটির করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখানেও আসর না হওয়ার কথা রোববার জানানো হয়।
আর্জেন্টিনাকে আয়োজক থেকে বাদ দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সোমবার ব্রাজিলকে আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করে কনমেবল। নির্ধারিত ১৩ জুনেই শুরু হবে আসরটি। শেষ হবে ১০ জুলাই। তবে আয়োজক শহর এবং ম্যাচগুলোর বিস্তারিত এখনও জানানো হয়নি।
ব্রাজিলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো নয়। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে দেশটিতে। দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর দিক থেকে বর্তমান সময়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে তারা শীর্ষে এবং বিশ্বের হিসাবে দ্বিতীয়।
এর আগে পাঁচবার কোপা আমেরিকা আয়োজন করেছে ব্রাজিল এবং প্রতিবারই শিরোপা জিতেছে তারা।
দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশ সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতাটির এবারের আসর মূলত হওয়ার কথা ছিল গত বছর। তবে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীতে তা এক বছর পিছিয়ে যায়।