কোভিড-১৯ বিরতির পর গত বছরের মে মাসে খেলা শুরুর পর থেকে ক্লাব ও দেশের হয়ে ৬০ ম্যাচ খেলেন লেভানদোভস্কি। ৩২ বছর বয়সী এই তারকা এবার বুন্ডেসলিগায় কিংবদন্তি জার্ড মুলারের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভাঙেন ৪১ গোল করে।
সামনেই শুরু হচ্ছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দলগুলো খেলবে কোপা আমেরিকা। এরপরই আবার শুরু হবে ক্লাব ফুটবলের নতুন মৌসুম। ২০২২ সালে আছে বিশ্বকাপ।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দা টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফুটবলারদের ওপর ঠাসা সূচির বিরূপ প্রভাব নিয়ে নিজের অভিমত জানান গতবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় লেভানদোভস্কি।
“অনেকেই ভুলে যায় যে, আমরাও মানুষ; আমরা যন্ত্র নই, প্রতিদিন আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল খেলতে পারি না।”
“ফুটবল এবং তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এটা অনেক বড় সমস্যা হবে। তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য বড় সমস্যা হবে অনেক বছর ধরে শীর্ষে থাকা, কারণ এখন এবং সম্ভবত পরবর্তী দুই বছরে সূচির ব্যস্ততা আরও বাড়বে; অনেক বড় ম্যাচ থাকবে।”
আসন্ন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পোল্যান্ডের আশা লেভানদোভস্কিকে ঘিরেই। তার মতে, এত বেশি ম্যাচের কারণে খেলোয়াড়রা তো ভুগবেই, বিরক্ত হবে দর্শকরা।
“এমনকি এত বেশি ম্যাচ দর্শকদের জন্য আরও বিরক্তিকর হবে বলে আমি মনে করি। যদি ম্যাচের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করা হয়, তাহলে ম্যাচটির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা আরও বাড়ে এবং দর্শকরা অনুভব করবে, এই ম্যাচটার জন্য সে অপেক্ষা করছে।”
“(ঠাসা সূচিতে) খেলার মান কমে যাবে। এত ম্যাচের কারণে খেলার মান শীর্ষ পর্যায়ে রাখাও সম্ভব হবে না।”