কোপা আমেরিকার ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার দুই দেশের যৌথ আয়োজনে হওয়ার কথা ছিল টুর্নামেন্ট। কিন্তু আসর শুরুর মাত্র ১৩ দিন আগে এখন স্বাগতিক নেই কোনো দেশই।
কোন পরিস্থিতির কারণে আর্জেন্টিনায় টুর্নামেন্ট হচ্ছে না, সেটি জানায়নি কনমেবল। তবে আর্জেন্টিনায় কোভিডের সংক্রমণ সম্প্রতি ঊর্ধ্বমুখী থাকায় একটা শঙ্কা ছিলই।
সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে কনমেবল জানায়, তারা অন্যান্য দেশের প্রস্তাব বিবেচনা করছে, যারা টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহী এবং শিগগিরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সোমবারই সংস্থাটির কর্তারা বৈঠক করবেন করণীয় ঠিক করতে। তবে টুর্নামেন্ট শুরু হতে বাকি নেই আর দুই সপ্তাহও। এই সময়ের মধ্যে নতুন আয়োজক চূড়ান্ত করে খেলা চালানো কঠিনই।
গত ২০ মে কনমেবল জানায়, কলম্বিয়ায় হচ্ছে না এবারের কোপা আমেরিকা। সেখানে গত এপ্রিল থেকে চলতে থাকা সরকারবিরোধী আন্দোলনে দেশজুড়ে অস্থিরতা থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফের্নান্দেস তখন বলেছিলেন, পুরো আসর একাই আয়োজনে প্রস্তুত তারা।
কিন্তু এই মাস থেকেই আর্জেন্টিনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে। দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনও দিতে হয়েছে।
মূলত আর্থিক কারণেই টুর্নামেন্ট বাতিল বা স্থগিত করে দিতে অনীহা কনমেবলের। ২০১৯ সালে ব্রাজিলে হওয়া টুর্নামেন্ট থেকে আয় ছিল ১১.৮ কোটি ডলার, যা ছিল সংস্থাটির আয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎস। এবারের আসরে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের পাওয়ার কথা অন্তত ৪০ লাখ ডলার করে, চ্যাম্পিয়ন দলের বাড়তি পুরস্কার ১ কোটি ডলার।
কনমেবলের মহাসচিব গনসালো বেলোসো গত সপ্তাহে জানান, তারা চিলির কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। সম্ভাব্য বিকল্প আয়োজক হতে পারে চিলি।
এবারের কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার কথা আগামী ১৩ জুন, ফাইনাল ১০ জুলাই। ফাইনালসহ ১৫ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল কলম্বিয়ায়, ১৩টি আর্জেন্টিনায়।