কঁতের অর্জনের খাতায় সবশেষ গত শনিবার যোগ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। পোর্তোর এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে কাই হাভার্টজের একমাত্র গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব সেরেছে চেলসি। দলটির হয়ে মাঝমাঠে দারুণ খেলে কঁতে জিতে নিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
লেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর ২০১৬ সালে কঁতে পেলেন প্রথম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ের স্বাদ। ওই বছরই তার ঠিকানা হলো চেলসি; স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটির হয়ে প্রথম মৌসুমেই উঁচিয়ে ধরলেন ২০১৬-১৭ মৌসুমের লিগ শিরোপা। সাফল্যের ভেলায় ভাসতে থাকলেন এই ফরাসি ফুটবলার।
২০১৭-১৮ মৌসুমে লন্ডনের দলটির হয়ে এফএ কাপ জয়ের পর গেলেন রাশিয়া কাপ মিশনে। সেখানেও সফল কঁতে। ফ্রান্স জিতল ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ; তিনিও পেলেন বিশ্বসেরা হওয়ার অবিস্মরণীয় সাফল্য।
চেলসির জার্সিতে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ইউরোপা লিগ ট্রফি জেতার পর শনিবার জিতলেন প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট। সাফল্যের এই রথ ছুটতে পারে আগামী মাসে হতে যাওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও।
পোর্তোর ফাইনালে সেরা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজই মিডফিল্ডে করেছেন কঁতে। সিটির বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, অতীতের ওই সাফল্যগুলোর পেছনে তিনি কেন এতটা অপরিহার্য, কার্যকরী। কঁতের প্রশংসা করতে গিয়ে চেলসির সাবেক মিডফিল্ডার ও বিটি স্পোর্টসের ফুটবল বিশেষজ্ঞ জো কোল যেমন টেনে আনলেন সাবেক মিডফিল্ডার ক্লুদ মেকেলিলির উদাহরণ।
“কঁতে অবিশ্বাস্য। তাকে দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে ছিলাম। চেলসিতে আমি ফ্রান্সের ক্লুদ মেকেলিলির সঙ্গে খেলেছি, যাকে আমি সেরা ভাবতাম এই ছেলেটাকে (কঁতে) দেখার আগ পর্যন্ত। মেকেলিলির চেয়েও বেশি কিছু আছে এই ছেলেটার মধ্যে।”
প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ার দক্ষতা, তার পাসিং, বল পায়ে তার দ্রুত এগিয়ে যাওয়া চেলসিকে রক্ষণ সামলে দ্রুত আক্রমণে ওঠার সুযোগটা করে দেয়-এসবের জন্য কঁতে প্রায়ই প্রশংসিত হন।
ব্যক্তিগত অনেক স্বীকৃতি, পুরস্কার এই ফরাসি জিতেছেন; কিন্তু এখনও বড় কোনো ব্যক্তিগত সাফল্য যেমন ব্যালন ডি’অর জিততে পারেননি। এ বছর অবশ্যই তার সুযোগ থাকবে তা জয়ের।
এখন পর্যন্ত কঁতের তেমন তারকা ইমেজ নেই, কিন্তু চেলসির সাবেক মিডফিল্ডার ব্রাজিলিয়ান রামিরেসের বিশ্বাস, ব্যালন ডি’অরের আলোচনার টেবিলে কঁতেকে নিয়ে কথা হবেই।
“সে খুবই শান্ত এবং সবসময়ই শান্ত প্রকৃতির। অসাধারণ একজন খেলোয়াড়। মাঠের প্রতিটা কোণায় তাকে দেখা যায়-রক্ষণে, মাঝমাঠে, আক্রমণে, দুই পাশে, সব জায়গায়। বিশ্ব সেরাদের একজন। সে যেভাবে খেলে, হৃদয় ছুঁয়ে যায়।”
“হয়ত বিশ্বের সেরা তিন জনের একজন হবে সে। একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের জন্য ব্যালন ডি’অর জেতাটা কঠিন; কিন্তু সে এটার যোগ্য।”