পোর্তোয় শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মুখোমুখি হবে চেলসি ও সিটি। চেলসি আট বছর পর ও সিটি এই প্রথম ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছে।
চেলসির দুই উইং-ব্যাক কি আক্রমণ শানাতে পারবে?
টুখেলের কৌশলে উইং-ব্যাকদের আক্রমণে ওঠার লাইসেন্স দেওয়া আছে। ডান দিক দিয়ে সেসার আসপিলিকুয়েতা বা রিস জেমস এবং বাঁ দিক দিয়ে বেন চিলওয়েল বা মার্কোস আলোনসো-মোদ্দা কথা ট্রানজিশনের সময়ে কার্যকরী এবং আরও ছড়িয়ে খেলার মতো খেলোয়াড় আছে টুখেলের হাতে।
যদি সেটাই হয়, তাহলে চেলসির (ইনসাইড ফরোয়ার্ড) ম্যাসন মাউন্ট ও ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক সাধারণ পরিস্থিতির চেয়ে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন।
টুখেল অবশ্য সবসময় নিজের ফরমেশন এবং প্রতিপক্ষের কৌশলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে পরিকল্পনা করে থাকেন। সম্প্রতি ডান দিকে আসপিলিকুয়েতা এবং জেমসকে খেলিয়েছেন তিনি। বাঁ দিক দিয়ে আসা আক্রমণ সামলাতে যা অবশ্যই কাজে আসবে।
চেলসি কি ডে ব্রুইনেকে থামাতে পারবে?
সিটির বিপক্ষে সম্প্রতি দুটি ম্যাচ জিতেছে চেলসি। এতে বোঝা যাচ্ছে, নিজেদের কৌশলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সেট-আপ কার্যকরভাবে সাজাতে পারদর্শী টুখেল। কিন্তু কেভিন ডে ব্রুইনের মতো মেধাবী খেলোয়াড়কে আটকাতে এগুলো যথেষ্ট নাও হতে পারে।
চেলসির দুই হোল্ডিং মিডফিল্ডার এনগোলা কঁতে এবং জর্জিনিয়োর সামর্থ্য আছে ডে ব্রুইনের খেলাটাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলার। কিন্তু যদি তারা সেটা না পারেন, তাহলে সমস্যায় পড়তে হবে চেলসিকে।
‘ফলস নাইন’ বনাম তিন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার?
যদিও হাতে দুজন চমৎকার সেন্টার ফরোয়ার্ড ক্লাবের রেকর্ড গোলদাতা সের্হিও আগুয়েরো ও ব্রাজিলিয়ান গাব্রিয়েল জেসুস আছে, তারপরও গুয়ার্দিওলা মাঝমাঠের একটু ওপরে সেন্ট্রাল রোলে একজন মিডফিল্ডারকে খেলান, যেটা এই কোচের প্রিয় ‘ফলস নাইন’ পদ্ধতি।
ওয়াকার কি নিজের জায়গায় থাকবেন নাকি চাপ দেবেন?
পিএসজির বিপক্ষে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগের প্রথমার্ধে রাইট-ব্যাক কাইল ওয়াকারের প্রতি গুয়ার্দিওলার স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল নিজের জায়গা আকঁড়ে থাকার; কোনোভাবে উপরে না ওঠার এবং নিজের পেছনে ফাঁকা জায়গা না রাখার।
চিলওয়েল ও ম্যাসন মাউন্টের হাত ধরে বাঁ দিক দিয়ে চেলসি আক্রমণ সাজালে ওয়াকারকে রক্ষণ সামলানোর দায়িত্ব নিয়ে পড়ে থাকতে হতে পারে। অবশ্য এটা সিটির জন্য ইতিবাচকও হতে পারে, কিন্তু তা অবশ্যই সিটিকে আক্রমণের একটা বিকল্প পথ হারানোর মাশুলের বিনিময়ে হবে।
ভেরনার কি সিটির জন্য হুমকি হতে পারবেন?
টিমো ভেরনারের সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচে ১২ গোল করাটা চেলসির ৫ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগের প্রতিদান নয় মোটেও।
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে গোল করেছিলেন ভেরনার; এ গোল দিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা সাত ম্যাচের গোলখরা কাটান এই জার্মান।
মোদ্দা কথা, জম্পেশ এক লড়াই হবে, যে সুযোগগুলো আসবে, চেলসি চাইবে তার সর্বোচ্চটা কাজে লাগাবে ভেরনার।