আর্জেন্টিনায় পুরো কোপা আমেরিকা আয়োজনের প্রস্তাব

দুই স্বাগতিকের একটি কলম্বিয়া থেকে এ বছরের কোপা আমেরিকা সরিয়ে নেওয়ায় আগেই জেগেছিল সম্ভাবনা। সেটাই সত্যি করে পুরো টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য আরেক স্বাগতিক আর্জেন্টিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2021, 11:44 AM
Updated : 27 May 2021, 12:14 PM

আর্জেন্টিনার শীর্ষ এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুধবার এই তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশ সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতাটি হওয়ার কথা ছিল গত বছর। তবে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীতে তা এক বছর পিছিয়ে যায়।

আগামী ১৩ জুন শুরু হওয়ার কথা টুর্নামেন্টটি, চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। ফাইনালসহ ১৫টি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল কলম্বিয়ায়, উদ্বোধনী ম্যাচসহ ১৩টি আর্জেন্টিনায়। কিন্তু কলম্বিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন মাথাচাড়া দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার দেশটি থেকে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেয় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশন (কনমেবল)।

প্রয়োজনে পুরো টুর্নামেন্ট আর্জেন্টিনা একাই আয়োজনের জন্য প্রস্তুত বলে কদিন আগে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফের্নান্দেস। এবার দেশটির মন্ত্রিপরিষদ প্রধান সান্তিয়াগো কাফিয়েরো রেডিও লা রেদ-এ এক সাক্ষাৎকারে জানান, তারা প্রস্তাব পেয়েছেন।

“পুরো টুর্নামেন্ট আর্জেন্টিনায় আয়োজনের একটা প্রস্তাব আছে, তবে যে অংশের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রথমে সেটার সমাধান আমাদের করতে হবে।”

“এখন আসল কাজ হলো ভেন্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করা।…স্বাস্থ্যগত দিক থেকে আমরা এর বিপক্ষে নই, তবে আমাদের সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এটি নিয়েই আমরা কাজ করছি।”

এক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, একক আয়োজক হতে আর্জেন্টিনার প্রস্তুতি দেখতে চলতি সপ্তাহে দুটি স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন কনমেবলের কর্মকর্তারা।

গত দুই সপ্তাহ ধরে আর্জেন্টিনায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তীব্র আকার ধারণ করা সত্ত্বেও এসেছে এই প্রস্তাব।

আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী আর্জেন্টিনায় করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৪৮০। গত শনিবার থেকে কঠোর লকডাউনের মধ্যে রয়েছে দেশটি। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের খেলাধুলা, ধর্মীয় ও সামাজিক সমাবেশ। অপরিহার্য নয় এমন ব্যবসাও রয়েছে বন্ধ।

প্রতিবেশী দেশ উরুগুয়েতেও কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পাশের আরেক দেশ ব্রাজিলে এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ, যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এরপরও বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটি আয়োজনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর কনমেবল।