ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে বুধবার রাতে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর টাইব্রেকারে ১১-১০ ব্যবধানে জেতে ভিয়ারিয়াল।
জেরার্দ মরেনোর গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান এদিনসন কাভানি। টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচ শটে জালের দেখা পায় দুই দলই। ‘সাডেন ডেথে’ও প্রথম পাঁচটি করে শটে সবাই গোল করেন।
১১তম শটে বল জালে পাঠান ভিয়ারিয়ালের গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। পরে ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়ার শট ঠেকিয়ে জয়ের নায়ক তিনিই।
ভিয়ারিয়ালের পাশাপাশি ইতিহাস গড়লেন দলটির কোচ উনাই এমেরিও। প্রথম কোচ হিসেবে জিতলেন চারটি ইউরোপা লিগ শিরোপা। এর আগে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সেভিয়ার কোচ হিসেবে এর শিরোপা জিতেছিলেন তিনি।
প্রতিযোগিতাটির শিরোপা জেতায় আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও নিশ্চিত হলো এবার লা লিগায় সপ্তম হওয়া ভিয়ারিয়ালের।
পোল্যান্ডের গোডাইন্সকে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ পান প্রায় ১০ হাজার দর্শক। শুরু থেকে বল দখলে ইউনাইটেড এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই। সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইউনাইটেডের স্কট ম্যাকটমিনে।
২৯তম মিনিটে লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শটেই সাফল্য পায় ভিয়ারিয়াল। দানি পারেহোর ফ্রি-কিকে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে হাফ ভলিতে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মরেনো।
দুই দলের পাঁচবারের দেখায় এই প্রথম জালের দেখা পেল কোনো দল। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মরেনোর গোল হলো ৩০টি।
প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশে মাত্র ৩টি শট নিতে পারে ইউনাইটেড, লক্ষ্যে ছিল একটি। ভিয়ারিয়ালের ৫ শটের একটি লক্ষ্যে ছিল।
প্রতিযোগিতাটিতে শুরুর একাদশে নেমে নিজের শেষ ১১ ম্যাচে ১৬ গোল করলেন ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
৭২তম মিনিটে কাছ থেকে কাভানির হেড লাগে এক ডিফেন্ডারের গায়ে। আট মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি র্যাশফোর্ড।
১১৪তম মিনিটে ডি-বক্সে ফ্রেদের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন করে ভিয়ারিয়াল। শরীর থেকে হাত বেশ দূরেই ছিল তার। তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেননি রেফারি।
পরে টাইব্রেকারে জিতে পুরো আসরে অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হলো ভিয়ারিয়াল। প্রথমবার বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেই শিরোপা উৎসব করল ৫০ হাজার মানুষের শহরের ক্লাবটি।