ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে মঙ্গলবার এই ঘোষণা দেয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি।
“তথাকথিত সুপার লিগ নিয়ে উয়েফার এথিকস ও ডিসিপ্লিনারি পরিদর্শকদের তদন্ত শেষে সংস্থাটির নীতিমালার সম্ভাব্য লঙ্ঘনের বিষয়টি মাথায় রেখে রিয়াল মাদ্রিদ, ইউভেন্তুস ও বার্সেলোনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
গত মাসে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভুত হয় সুপার লিগ। তাতে ইউরোপের ১২টি শীর্ষ ক্লাব যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলে ঝড় ওঠে ফুটবল বিশ্বে। প্রবল চাপের মুখে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নয়টি ক্লাব নিজেদের সরিয়ে নিলেও অনড় অবস্থানে থেকে যায় বিতর্কিত লিগটি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও ইউভেন্তুস।
সরে যাওয়া ক্লাবগুলো হলো-ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, আর্সেনাল, ইতালির এসি মিলান, ইন্টার মিলান ও স্পেনের আতলেতিকো মাদ্রিদ।
সুপার লিগে থাকলে শাস্তি পেতে হবে, শুরু থেকেই হুমকি দিয়ে আসছে উয়েফা। এবার সেই ব্যবস্থাই নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
টুর্নামেন্টটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া ৯ ক্লাবকে পুরনো অবস্থায় ফেরার অঙ্গীকারনামা ‘ক্লাব কমিটমেন্ট ডিক্লারেশন’ এ স্বাক্ষর করিয়েছে উয়েফা। সেই সঙ্গে ওই দলগুলোকে ‘আর্থিক জরিমানা’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চুক্তিপত্রে রাখা হয়েছে, পরবর্তীতে এমন কোনো ভুল করলে বড় শাস্তির শর্ত।